এম,এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)
নবীগঞ্জ উপজেলার ১০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ৪টিরই লাইসেন্স নবায়ন করা নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের ভাষ্যে- বেআইনীভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এদিকে, চলতি অর্থবছরের দুই তৃতীয়াংশ সময় পার হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।
স্থানীয় সচেতন মহলের প্রশ্ন- লাইসেন্স নবায়ন না করেই কিভাবে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান চলছে এবং কোন দুর্ঘটনা হলে এর দায় কে নিবে? যদিও নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে- যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন করা নেই তাঁরা ফি জমা দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
নবীগঞ্জ ডিজিটাল ল্যাব (একটি পূর্ণাঙ্গ ডায়াগনস্টিক সেন্টার) হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নবীগঞ্জ উপজেলায় ১০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে পৌর শহরের হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নবীগঞ্জ ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হাসপাতাল, আউশকান্দি বাজারের কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসের লাইসেন্স ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নবায়ন করা হয়নি। ফলে একদিকে জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে। অন্যদিকে মানা হচ্ছে না। সরকারের বিধিনিষেধ। এ ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে স্থানীয় সচেতন কয়েকজন বলেন, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মত গুরুত্বপূর্ণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কিভাবে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করছে? লাইসেন্সের মেয়াদ চলে যাওয়ার পর এসব প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবৈধ হয়ে যায়। নিয়ম অনুসারে যতদিন পর্যন্ত নতুন করে লাইসন্সে না পাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কিন্তু যারা এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে তারা যদি দিব্যি সেখানে বসে প্র্যাকটিস করেন তাহলে ব্যবস্থা কে নিবে? এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত লাইসন্সে নবায়ন করতে পারেনি তাঁরা সরকারি ফি জমা দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘লাইসন্সে নবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই হাসপাতাল অবৈধ হয়ে যায়। বিষয়টি আমরাকঠোরভাবে দেখব।’ যোগাযোগ করা হলে হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সহকারি ব্যবস্থাপক অমিত বলেন, এ সব বিষয়ে আমি বলতে পারব না, ব্যবস্থাপক বলতে পারবেন। এই দুই কথা বলে তিনি লাইন কেটে দেন। পরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
একইভাবে এ ব্যাপারে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান নবীগঞ্জ ডিজিটাল ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হটলাইন নাম্বারে কল রিসিভ করা ব্যক্তি। পরে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাহবুবুল আলম সুমনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply