কুলাউড়া প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মিজানুর রহমান মজুমদার নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা ও একটি মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত সোমবার (২৮ জুলাই) রাত আনুমানিক দশটায় পৌর শহরের সাদেকপুর রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান পৌর শহরের সাদেকপুর রোডের বাসিন্দা মো. আলী মজুমদারের ছেলে। তিনি কুলাউড়া পৌর শহরের উত্তরবাজারের মজুমদার ফ্যাশনের স্বত্ত্বাধিকারী। ওই দোকানে তিনি মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসাও পরিচালনা করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার বিকেল ছয়টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান মজুমদার দীর্ঘদিন থেকে কুলাউড়া পৌর শহরের উত্তর বাজারে মজুমদার ফ্যাশন নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। রবিবার রাত আনুমানিক ১০ টায় দোকান বন্ধ করে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের পশ্চিমে সাদেকপুর সড়ক দিয়ে যাওয়ার পর পেছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশা তাঁর গতিরোধ করে। এসময় ছিনতাইকারীরা তাঁর হাতে থাকা দুটি টাকার ব্যাগ ও ১টি মোবাইল ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন। গাড়িতে চালকসহ মোট ৩ জন লোক ছিলেন বলে জানান ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উমর ফারুকের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে পায়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে আমার বাসা থেকে প্রায় দুইশত গজ দূরে সাদেকপুর রোড এলাকায় পেছন থেকে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশা আমার গতিরোধ করে। এসময় গাড়িতে থাকা দুর্বৃত্তরা আমার হাতে থাকা দুটি টাকার ব্যাগ ও ১টি মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ব্যাগে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা ছিল। থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছি।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উমর ফারুক বলেন, ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি তদন্ত করছে।
Leave a Reply