কুলাউড়া প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক করা হয়েছে। যার অনুলিপি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও কুলাউড়ার ইউএনও বরাবরে দেয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে তানজিল খান, শামীম আহমদ ও ফারহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, কুলাউড়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: আব্দুল হান্নান গত ২৪ জানুয়ারি মারা গেলে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদ শুন্য হয়। তার মৃত্যর একদিন পরে অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি কলেজ পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ মশিউর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে ৫ জন শিক্ষকের নামের একটি আবেদন প্রেরণ করেন। সেই আবেদনে এক নম্বরে মোহাম্মদ আবুল কালাম সহকারি অধ্যাপক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ এবং ২ নম্বরে মো: আব্দুল বাকির নামোল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কালাম বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির একজন সক্রিয় সদস্য। জৈষ্ঠ্যতা নিয়েও রয়েছে জটিলতা। এছাড়া তালিকার ২ নম্বর ব্যক্তি বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। এরা গত ৫ আগষ্টের চুড়ান্ত আন্দোলনের পূর্বে তাদের সংগঠনের মাধ্যমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হুমকি ধামকি এমনকি কলেজে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে। এছাড়া নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে তারা জড়িত।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কোন রকম যাচাই বাছাই না করে মোহাম্মদ আবুল কালামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। যার ফলে কলেজে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। যা সংঘাতে রূপ নিতে পারে। ফলে কুলাউড়া উপজেলা সর্বোচ্চ বিদ্যাপীটে একজন সৎ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া সরকারি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও কুলাউড়ার ইউএনও সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি কুলাউড়ার ইউএনওর মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
Leave a Reply