জকিগঞ্জ প্রতিনিধি
টানা বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় সিলেটের জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে দ্রুত পানি ঢুকছে। ফলে ক্রমেই প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, হাটবাজার ও বসতবাড়ি।
রোববার রাত থেকে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই ও ভাখরশাল গ্রাম, পৌরসভার ছয়লেন এলাকা, খলাছড়া ইউনিয়নের লোহারমহল, বীরশ্রী ইউনিয়নের সুপ্রাকান্দি, লাফাকোনা ও লক্ষীবাজারসহ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া পৌর শহরের কেছরী গ্রামে কুশিয়ারা নদীর পানি বাঁধের ওপর দিয়ে উপচে পড়ছে। এতে জকিগঞ্জ পৌর শহরের বেশির ভাগ এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। ছবড়িয়া, সেনাপতির চক, ইছাপুর, পিল্লাকান্দি, আমলসীদ, গদাধর ও বড়ছালিয়াসহ অর্ধশতাধিক এলাকায় বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে পানি ঠেকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই গ্রামে প্রায় ১৫০ ফুট, ভাখরশাল গ্রামে ৭০ ফুট, লোহারমহল গ্রামে ৫০ ফুট ও ছয়লেনে ১৫ ফুট বাঁধ ভেঙে গেছে।
নদীর পানি বাড়তে থাকায় নদীতীরবর্তী এলাকার বহু ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, পানি বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, সময়মতো বাঁধ সংস্কার না করায় এমন দুর্দশার সৃষ্টি হয়েছে। রোববার থেকে নদীর পানি বাড়লেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বারবার বালুর বস্তার চাহিদা জানিয়েও মেলেনি প্রতিকার। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসন সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। দুর্গত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে প্রস্তুতি চলছে। কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে।’
Leave a Reply