বিছানা থেকে ওঠার শক্তি পাচ্ছেন না পরীমনি

বিছানা থেকে ওঠার শক্তি পাচ্ছেন না পরীমনি

একুশে সিলেট ডেস্ক
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের করা মামলায় হাজিরা না দেওয়ার কারণে রোববার আদালত এ রায় দেন। এ বিষয়ে পরীমনি জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে তিনি খুবই অসুস্থ। বিছানা থেকে ওঠার শক্তিও পাচ্ছেন না। তাই শুনানির নির্ধারিত তারিখে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে মাদককাণ্ডে বিতর্কিত এই নায়িকা গণমাধ্যমকে বলেন, ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে খবরটা দেখলাম। আমি আজ আদালতে যেতে পারিনি। এর আগেও একবার যেতে পারিনি, সেবার আমার মৃত নানুর একটা বিষয় ছিল। সেই হিসেবে পরপর দুবার আমি আদালতে যেতে পারিনি। আজকে আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারিনি। আমার আইনজীবীকে তা জানিয়েছি। আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, আজকে আমার অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল। সচেতন নাগরিক হিসেবেও মনে করছি যাওয়া উচিত ছিল।

নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণ উল্লেখ করে পরীমনি বলেন, শরীর অনেক বেশি খারাপ ছিল। শরীর অসুস্থ থাকলে তো কিছুই করার নেই। আমি বিছানা থেকে ওঠার মতো শক্তিও পাচ্ছিলাম না। ঠিক থাকলে আমি তো আদালতে যেতাম। আদালতে যাওয়া নিয়ে আমার কখনই কোনো সমস্যা ছিল না। মাতৃত্বকালীন সময়টায়ও কিন্তু আমি আদালতে যাওয়া বাদ দিইনি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

গত বছর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে ১৮ এপ্রিল ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। এরপর তারা ২৫ জুন ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান।

বেশ কয়েকবার মামলার শুনানিতে পরীমণিকে আদালত তলব করলেও উপস্থিত হননি তিনি। অবশেষে রোববার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলো।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a reply

  • Default Comments (0)
  • Facebook Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff