সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসানকে ঘিরে চলছে আলোচনা সমালোচনা। হাসপাতাল পরিচালনায় অনিয়ম-দুর্নীতিসহ পেশাদারিত্বে অবহেলার অভিযোগে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েছেন এই কর্মকর্তা। বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এদিকে এই চিকিৎসককে ঘিরে পক্ষে- বিপক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগষ্ট) দুপুরে সদর বাজারে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করে তাহিরপুর আন্তঃউপজেলা অধিকার পরিষদ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, এক কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করায় অনিয়ম দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছেন। মনোনীত সিণ্ডিকেট দ্বারা আউটসোর্সিং লোকবল নিয়োগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করে আসছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনেও রয়েছে অসদাচারন। অনিতিবিলম্ব এই চিকিৎসকের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রভাষক ফজলুল করিম সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশীদ, আন্তঃউপজেলা অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আফিকুল হক,ওয়ার্ড সদস্য তুজজামুল হক নাসরুম, সামরুল ইসলাম, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।
এসময় বিএনপি নেতা তোজাম্মিল হক নাসরুম বলেন, ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে অনিয়ম- দূর্নীতি করছেন। আমরা সচেতন নাগরিকরা নিরব থাকতে পারিনা। অতিসত্বর তাকে অপসারণ করা হোক।
একই সময়ে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স গেইটে তাহিরপুর সচেতন জনগণের ব্যানারে ডা. মির্জা রিয়াদ হাসানের পক্ষে মানববন্ধন করেন কিছু লোক।
চিকিৎসকের আসা অভিযোগকে মিথ্যা দাবী করে তাঁর বিরোধীতাকারীকে অনৈতিক সুবিধা দাবীকারী, দুঃস্কৃতিকারী ও চিকিৎসককে হুমকির প্রদান কারী হিসেবে অবহিত করে প্রতিবাদ জানায় ওই পক্ষ।
চিকিৎসকের পক্ষে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মো. শহিদ মিয়া, প্রদিপ মেম্বার, বাবুল মেম্বার, যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, আবু জহর প্রমুখ।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মির্জা রিয়াদ হাসান রিয়াদ নিজের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বলেন, গত ৬ আগষ্ট হাসপাতালের খাবার সরবরাহের টেন্ডার পান যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে হাসপাতাল গেইটে ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল হাসনাত রাসেল এবং যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে মারামারি হয়। এর জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার, হুমকি সহ মানববন্ধন করছেন তারা।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. জসীম উদ্দিন বলেন,সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানন তিনি।
Leave a Reply