ওসমানীনগর প্রতিনিধি
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় চকবাজার ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আবু ছালেহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে অ্যাডহক কমিটি গঠনকে ঘিরে অনিয়ম ও বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর মতামত উপেক্ষা করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখার সক্রীয় কর্মীকে কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ও সভাপতির পদ স্থগিত/বাতিল চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ ও ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের চক বাজার ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা গত দেড় দশক ধরে আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি একাধিক মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ একক আদিপত্বে মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর চলতি বছরের গত ২৮ এপ্রিল দাখিল ও আলিম স্থরের বেসরকারী মাদ্রাসায় অ্যাডহক গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা, ২০০৯(২০১২ পর্যন্ত সংশোধিত) এর প্রবিধি ৩৯ এর আওতায় চক বাজার ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটি গঠণে স্থানীয় জনগণের মতামত উপেক্ষা করে ও অধ্যক্ষের সমন্বনিত যোগসুত্রে অতীতের ন্যায় এবারও নিয়মিত কমিটির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ,মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু সালেহ আল মাহমুদ, সহকারী সুপার সাদিকুর রহমান শিবলুসহ অত্র মাদ্রাসার এবতেদায়ী পর্যায়ের ২ জন শিক্ষকের প্রত্যক্ষ সহযেগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ময়োনপত্রে কমিটির প্রার্থীদের তালিকা বোর্ডে পাঠালে বোর্ড সেই আলোকেই কমিটির অনুমোদন দেয়। অনুমোদিত কমিটিতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখার সক্রীয় কর্মী ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের ভাই পলাতক চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ বদরুলের অনুসারী ডা:মিজানুর রহমানকে সভাপতি করা এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। সভাপতির পদ স্থগিত/বাতিল চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে সিলেটে জেলা প্রশাসসকের কাছে অভিযোগ ও তার অনুলিপি কপি গত ১৫ জুন ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দেওয়া হলেও এখনও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মাদ্রাসার অ্যডহক কমিটি গঠনের নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু ছালেহ আল মাহমুদ বলেন, এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হামিদের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে ও সাক্ষাতে একাধিকবার কথা হয়েছে এবং ইউএনওর ময়োনপত্রে বোর্ডে কমিটির প্রার্থীদের তালিকা পাঠানো হয়। এখানে দূর্নীতির কিছু নেই বলে তিনি দাবি করেন।
অধ্যক্ষের এ দাবিকে অসত্য বলে দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, অধ্যক্ষ বহুমূখী চাপের কারণে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
Leave a Reply