ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলেন ইউএনও রবিন মিয়া
মোঃ মঈন উদ্দিন মিলন, কোম্পানীগঞ্জ
অবৈধ মালামাল পরিবহন ও সীমান্তপথে মাদক পাচার প্রতিরোধে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে আধুনিক নজরদারির আওতায় এনেছে উপজেলা প্রশাসন। সদরের প্রবেশপথে চারচোঁখ বিশিষ্ট অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রবিন মিয়ার নির্দেশে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব ক্যামেরার মাধ্যমে চেকপোস্টে চলাচলরত যানবাহনের গতিবিধি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। অবৈধ পাথর, বালু ও মাদক পরিবহন প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি পুলিশের একাধিক অভিযানে ঢাকাগামী বাস থেকে ফেনসিডিলের চালানসহ এক নারীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ রতন শেখ।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বালু ও পাথরবাহী কয়েকটি গাড়ি জব্দ করে সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
অন্যদিকে, স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ উঠেছে— কিছু টহলরত পুলিশ সদস্যের ছত্রছায়ায় অবৈধ পাথরবাহী গাড়ি চাঁদা বিনিময়ে পার হওয়ার ঘটনা ঘটছে। গত ৫ অক্টোবর বালুবাহী ট্রাক আটকের ঘটনায় ট্রাক শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে, যা পরবর্তীতে গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মতে, এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর সড়ক নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি স্থাপন সময়োপযোগী পদক্ষেপ। তারা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও একই ধরনের ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ার পর আজ সকালে ইউএনও মোঃ রবিন মিয়া নিজে উপস্থিত থেকে ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই মুহূর্তের ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিন মিয়া প্রতিবেদকের সাথে ফোনালাপে মূলত পাথর বালু মাদক বহন রোধে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য সদর উপজেলা গেইটের মহাসড়ক এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
Leave a Reply