সর্বশেষ :
জকিগঞ্জে নোমান হত্যা : আসামি সুমনের ৪ দিনের রিমান্ড, এবার স্ত্রীর নতুন মামলা প্রেমের পরিণতি অনশন: স্বামীর ঘরে উঠতে বিশ্বনাথের অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর আহাজারি ট্রেনের ৭০০ টিকিটসহ ৩ ‘কালোবাজারি’ আটক, ১৫ দিনের কারাদন্ড এসএমপি’র ৩২ঘন্টার অভিযান: সিলেট নগরীতে গ্রেফতার ৬৭ সিলেটে যে সকল রাস্তায় গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিল পুলিশ বুধবার থেকে এক ক্লিকে জামিননামা চলে যাবে কারাগারে হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু, ১৪ জনের যাবজ্জীবন এবার রেলওয়ে স্টেশনে ডিসির ঝটিকা অভিযান ১ কোটি টাকা মূল্যের জাল নোট ও বিদশেী অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে আটক ১ জামালগঞ্জে হাওরের বুকে নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় — হেমন্তে পাও, বর্ষায় নাও ভরসা
নেটিজেনদের তোপের মুখে তাহিরপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

নেটিজেনদের তোপের মুখে তাহিরপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি। ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতে নিষেধ।
তাহিরপুর প্রতিনিধি

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান। গত দু’দিন ধরে সোস্যাল এক্টিভিস্টরা ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করে যাচ্ছেন।

সোস্যাল এক্টিভিস্টদের দেওয়া বিভিন্ন পোস্ট ও মন্তব্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে তাঁর খারাপ আচরণ, বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত চেম্বার করে রোগী দেখা, টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউজবোট ব্যবসা, উপজেলার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টাকা বিনিয়োগ ও টাকার বিনিময়ে পুলিশ কেসের সার্টিফিকেট দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লেখেন, ‘উনি (ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান) একজন এমবিবিএস ডাক্তার। অবশ্যই সম্মানী ব্যক্তি, কিন্তু উনার আচরণ খুবই খারাপ। উনার বিরুদ্ধে নালিশের কোনো অভাব নাই। আপাতত উনাকে বাদাঘাট বাজারে চেম্বার না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

সমাজকর্মী ও লেখক আবুল হোসেন তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মীর্জা সাহেবের বিরুদ্ধে মানুষের সীমাহীন অভিযোগ!’

উপজেলার বাদাঘাট বাজারে থাকা কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা মির্জা রিয়াদ হাসানের টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘বাদাঘাট জেনারেল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্যারের (ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান) তিনভাগের এক ভাগ শেয়ার রয়েছে।’

হাওর বাঁচাও আন্দোলন নেতা তোজাম্মিল হক নাসরুম বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের মতো একটা জায়গায় বড় চেয়ারে বসে সেবা না দিয়ে তিনি তাহিরপুরের বিভিন্ন সেক্টরে নিজস্ব ব্যবসা খোলে বসেছেন। তাঁর হাউজবোট ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবসা সম্পর্কে গোটা তাহিরপুরবাসী অবগত।’

উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান রাসেল বলেন, ‘গেল ৭ আগস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা অনিয়ম নিয়ে কথা বলতে আমি সেখানে যাই। তারপর হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে কথা বলা শুরু করলে তিনি হাসপাতালে থাকা তাঁর নিজস্ব লোক দিয়ে আমার উপর হামলা করেন।’

ছাত্রদল নেতার উপর হামলার বিষয়ে ডা. মির্জা রিয়াদ হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৭ আগস্ট তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি টেন্ডার নিয়ে ছিলনা এটা সত্যি। ঘটনাটি মূলত তাঁরা নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থেকে শুরু। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয় যা পরে হাতাহাতিতে চলে যায়।’

তাহিরপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নানা অনিয়ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়, এ সম্পর্কে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুরো বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff