শাল্লায় নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ধামাচাপা দিতে মরিয়া প্রধান শিক্ষক

শাল্লায় নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ধামাচাপা দিতে মরিয়া প্রধান শিক্ষক

শাল্লা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের শাল্লায় ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী সুব্রত সূত্রধরের বিরুদ্ধে। শাল্লা সদর ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের দীরেন্দ্র সূত্রধরের ছেলে সুব্রত সূত্রধর শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সুব্রত সূত্রধর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছে বলে জানা যায়। কিন্তু প্রলোভন দিয়েও এখন বিয়েতে অসম্মতি প্রকাশ করে আসছেন সুব্রত। পরে গত বুধবার ১৮ জুন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী নারী।

এরপর থেকেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উটেছে শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফ মোহাম্মদ দুলাল। স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্ত লম্পট সুব্রত সূত্রধরকে বাঁচাতে তার পক্ষ নিচ্ছেন আরিফ মোহাম্মদ দুলাল।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘ দুই বছর ধরে ভুক্তভোগী ওই নারীর সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তুলেন সুব্রত। চাপ প্রয়োগ করে ভুক্তভোগী ওই নারীকে প্রত্যেক শুক্রবারে শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতো সুব্রত। বিয়ের প্রলোভনে চাপ প্রয়োগ করে দেখা করার সময় ভুক্তভোগী নারীর সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই যুবক। ভুক্তভোগী নারীর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসলেও সুব্রত সূত্রধরের প্রলোভন ও চাপে বিয়ের সেই প্রস্তাবগুলো ভেঙে যায়।

অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী আরও উল্লেখ করেন, আমি এখন সামাজিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছি। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটলে সেজন্য সুব্রত সূত্রধর দায়ী বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত যুবক সুব্রত সূত্রধরের মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। বক্তব্য নিতে চাইলে সুব্রত’র কর্মস্থল শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি। তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় মামলা দায়ের করার পর থেকেই সুব্রত পলাতক রয়েছে।

এবিষয়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য ছেলে ও মেয়েসহ উভয়পক্ষের লোকজনকে থানায় ডাকা হয়েছিল। ছেলে স্বীকারও করেছে ওই মেয়ের সাথে সে কথা বলতো। ওসি বলেন, ছেলের অভিযোগ ওই মেয়ে নাকি ছেলের কথাবার্তা মানে না। সেজন্য সে বিয়ে করতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। এখন ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff