স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের বালাগঞ্জে বিএনপির নেতা ও তাঁর পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম লয়লুছ মিয়া(৫০)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মানিক মিয়ার ভাই। মানিক মিয়া বর্তমানে বালাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ১০ মে, শনিবার বিকেলে সিরিয়া বাসস্টপ এলাকায় একটি বাসের হর্ন নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্য দিয়ে। পরে মানিক মিয়া ও তাঁর সহকর্মী সুমন খান বাজারে যাওয়ার পথে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে পুনরায় বিতণ্ডায় জড়ান এবং একপর্যায়ে গায়ে হাত তোলেন। মানিক মিয়া বাধা দিলে সুমন মিয়া প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে চলে যান।
প্রায় এক ঘণ্টা পর, সুমন মিয়া তাঁর ভাই ইউনুস আলীসহ আরও ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ডাকবাংলা রোডে মানিক মিয়ার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসা ভাই লয়লুছ মিয়াসহ আরও দুজনও হামলার শিকার হন।
আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লয়লুছ মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এরপর ১৩ মে, বালাগঞ্জ থানায় এ ঘটনায় ইউনুস আলীকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা (নং: ২, তারিখ: ১৩/৫/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্তরা ‘ইউনুস বাহিনী’ নামে পরিচিত একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্য, যারা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধে জড়িত।
নিহতের পরিবারের মানিক মিয়ার ছেলে সজীব সুমন বলেন, আমার চাচা বাবাকে বাঁচাতে গিয়েই প্রাণ হারালেন। আমি কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানাই—দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন এমন অপরাধ আর না করতে পারে। আমরা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই এবং দোষীদের ফাঁসি দাবি করছি।
বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন আহমদ ভূঁইয়া বলেন,অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
Leave a Reply