বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
মধ্যপ্রাচ্যের ধনী রাস্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে নিজ কর্মস্থলে সহকর্মীদের কাছে খুন হয়েছেন, বিশ্বনাথের প্রবাসী শ্রমিক ফয়জুল হক। তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের ভূরকি (পাক্কাবাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা হাজী রইছ আলীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, নিহত ফয়জুল হক আবুধাবিতে নিজ কর্মস্থল একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানীতে একটি ভবনে দায়িত্ব পালনকালে নির্মমভাবে খুন হন। এদিকে আমিরাতের পুলিশ মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। আর নিহতের পরিবার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে দুতাবাসে সহায়তা চেয়েছেন।
নিহত ফয়জুল হকের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, গত প্রায় দুই দশক পূর্বে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমান বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের ভূরকি (পাক্কাবাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা হাজী রইছ আলীর ছেলে ফয়জুল হক। কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও সততার কারণে তিনি নিজ কোম্পানীর মালিকের কাছে হয়ে উঠেছিলেন একজন বিশ্বস্থ কর্মী। এ কারণে সহকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন হিংসার পাত্র। মাস খানের পূর্বে আবুধাবীর একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানীর উদ্যোগে নির্মানাধীন একটি বিল্ডিংয়ের কাজ তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়। পরিবারের দাবী সেখানে তার সহকর্মী দুই শ্রমিক প্রায় সময় ফয়জুল হকের সাথে বিবাদে জড়াতেন। যাদের বাড়ী বাংলাদেশের ব্রাম্মণবাড়ীয়ায়। ঘটনার দিন অজু অবস্থায় দুই বাংলাদেশী সহকর্মী ফয়জুল হকের মাথার পিছন দিকে আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমদিকে তাঁর মুত্যু শুধুই সহকর্মীদের হামলার ঘটনায় ঘটেছে বলে জানা গেলেও, পরবর্তীতে তার অনেক সহকর্মী জানিয়েছেন, তাঁর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা দুই সহকর্মী মালামাল চুরি করতে চাইলে তাতে বাধা দেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই সহকর্মী ঈদের পরদিন ফয়জুল হককে কাঠের মত কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ফয়জুল হকের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, আমিরাতের পুলিশ খুনের প্রকৃত রহস্য জানতে কাজ শুরু করছে। মরদেহ দেশে আনতে পরিবার বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
দুই সন্তানের জনক ফয়জুল হকের মৃত্যুতে তাঁর পরিবাওে চলছে শোকের মাতম আর এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজনরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply