গাজায় গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে চান সিলেটের নার্সরা

গাজায় গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে চান সিলেটের নার্সরা

একুশে সিলেট ডেস্ক
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ফিলিস্তিনের গাজায় গিয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালের ১০০ নার্স ও নার্সিং শিক্ষার্থী সরকারের অনুমোদন চেয়েছেন।

আজ রোববার সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের কাছে প্রধান উপদেষ্টাসহ পাঁচজন উপদেষ্টা বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

১০০ নার্সের পক্ষে এই স্মারকলিপি দেন সিলেটের নর্থ ইস্ট নার্সিং কলেজের বিএনএমসির রেজিস্টার্ড মিডওয়াইফ আয়শা সিদ্দিকা প্রিয়া। প্রধান উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর তাঁরা এই স্মারকলিপি দেন।

এ সময় আয়শা সিদ্দিকা প্রিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নার্সিং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ইব্রাহিম নীল, নার্স লিজা আক্তার, হালিমা খাতুন, নার্সিং শিক্ষার্থী সামিয়া সামি, রিয়া, বুশরা চৌধুরী, নিপা ও আমিনুল ইসলাম, এহসানুল হক তাহের, ইয়াকুব কামাল প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ফিলিস্তিনের গাজায় হাজার হাজার নিরীহ মুসলমানকে বোমা মেরে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিনিয়ত একের পর এক মুসলমান নিহত হচ্ছেন। প্রায় দুই বছর ধরে এ হত্যাকাণ্ড চলছে। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু তারপরও নির্মম হত্যাকাণ্ড ফিলিস্তিনে বন্ধ হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নার্স ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা। এসব ঘটনা দেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ১০০ জন নার্স ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ফিলিস্তিনের গাজায় গিয়ে নার্সিং সেবা দিতে ইচ্ছুক। তাই সম্পূর্ণ সরকারিভাবে আমাদের গাজায় গিয়ে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সুদৃষ্টি কামনা করছি।

স্মারকলিপি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিলেট উইমেন্স নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম বলেন, ‘৭ এপ্রিল সিলেটের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ১০০ নার্স ও নার্সিং শিক্ষার্থী গাজায় গিয়ে মানুষের সহযোগিতা করতে চাই। এর পর থেকে সারা দেশের নার্সরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘আমরা সবার তথ্যাদি সংযুক্ত করে আজ সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাসহ পাঁচজন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা সরকারের সহযোগিতা ও অনুমোদন চেয়েছি। আশা করি, সরকার আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইবোনদের পাশে থাকতে সহযোগিতা করবে।’

স্মারকলিপির বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, গাজায় গিয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজের অনুমতি ও সহায়তা চেয়ে নার্সরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্মারকলিপিটি প্রধান উপদেষ্টা ও পাঁচজন উপদেষ্টার দপ্তরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff