সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
ভারতের অভ্যন্তরে কুটি মিয়া (৫০) নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে খাসিয়ারা। নিহত কুটি মিয়া সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের মৃত মনির উল্ল্যাহর ছেলে। তিনি পেশায় কৃষিজীবী।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (২৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির।
বিজিবি ও পুলিশ এবং স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুপারি আনার জন্য বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ছয় জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলার লংথ্রাইপুঞ্জি এলাকায় প্রবেশ করেন। বিকেলে তারা খাসিয়াদের বাগান থেকে সুপারি চুরি করে বস্তায় ভরেন। ভারতীয় খাসিয়ারা তা দেখে ফেলায় পাঁচ জন বাংলাদেশি দৌড়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এ সময় পিছনে পড়ে যাওয়া কুটি মিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালান খাসিয়ারা। এতে তিনি ভারতের মাটিতেই মারা যান।
এদিকে, দুই দিন ধরে কুটি মিয়ার সন্ধান পায়নি বিজিবি ও পুলিশ। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। ভারতীয় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কুটি মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, বাংলাদেশের ছয় জন চোরাকারবারি ভারতের খাসিয়াদের সুপারি চুরি করতে যান। পাঁচ জন চলে আসেন। এক জন নিখোঁজ হন। পরে আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বিএসএফ আমাদের জানায়, যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে, তা সীমান্ত এলাকা না, ভারতের প্রায় ৭ কিলোমিটার ভিতরে। বিএসএফ ভারতের পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একটি লাশের সন্ধান পায়। তারা যাচাই করে জানতে পারে, লাশটি বাংলাদেশের কুটি মিয়ার।
তিনি বলেন, ভারতের পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করেছে। নিয়ম অনুযায়ী লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বলেন, কুটি মিয়ার লাশ এখনো হস্তান্তর করেনি। আজকের মধ্যে লাশ হস্তান্তর করার সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটলে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের মাধ্যমে ও ভিকটিমের পরিবারের উপস্থিতে ভারতের পুলিশ আমাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে।
Leave a Reply