গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি
গোলাপগঞ্জে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের পনাইরচক গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাত ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাসুর মৃত তমছির আলীর ছেলে নোমান উদ্দিন (৫৫)বাদী হয়ে মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে ময়নুল ইসলাম (৫৫),নুরুল হক (৫৫) ও ইসলাম উদ্দিন (৬৫), মৃত শফিক উদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন (৩৫, নুরুল হকের ছেলে এমদাদ উদ্দিন (২৫),মৃত সরাফত আলীর ছেলে তুকুছ মিয়া (৬০),মৃত মকদ্দছ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন (৫০), ময়নুল ইসলামের ফাহিম আহমদ (২০) কে অভিযুক্ত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাদীর ছোট ভাই ছোট ভাই কামাল উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা বেগম বৃহস্পতিবার বিকেলে তাহার ৮ বৎসরের ছেলেকে নিয়ে ছাগল আনতে পদ্দা বিলের পাড়ে যান। এসময় অভিযুক্ত ময়নুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিন রহিমা বেগমকে একা পাইয়া মুখ চেপে ধরে টেনে হেচড়ে ও মারপিট করে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে জোর-পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।রহিমা বেগমের সাথে থাকা তাহার ৮ বছরের ছেলে কদর আলী কান্নাকাটি করিয়া বাড়িতে এসে চাচা নোমান উদ্দিনকে বলে, তার মাকে জঙ্গলের ভিতরে নিয়া মারপিট করিতেছে। এসময় রহিমা বেগমের ভাসুর, বাদী নোমান উদ্দিন বিবাদী ইসলাম উদ্দিন ও আশপাশের লোকজন নিয়ে পদ্দা বিলের পাড়ে এসে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করেন। রহিমা বেগমকে উদ্ধারের সময় বাদী নোমান উদ্দিনকে, অভিযুক্ত ময়নুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিন তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন।
তিনি এজহারে আরোও উল্লেখ্ করেন, রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে বাড়িতে আসার পর বিবাদী ইসলাম উদ্দিনের কাছে বিচার দেন। পরে স্থানীয় মেম্বারকে অবগত করার পর অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র দা ও লাঠিসোটা নিয়ে বিবাদীর বসত বাড়ি প্রবেশ করে এলোপাতারী ঢিল মেরে বাড়ির ক্ষতি সাধন করে।
এ বিষয়ে বিবাদী ইসলাম উদ্দিন গংরা ধর্ষণের বিষয়টি ভূয়া বলে তাহারা জানান, মাঠি কাটা নিয়ে মারামারি হয়েছে।আমরাও আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে ষাট বছরের বৃদ্ধি মইজ উদ্দিন ও আতিক মিয়া বলেন, রহিমা বেগমকে উদ্ধারের সময় আমরা ছিলাম। এটা খুবই লজ্জা জনক বিষয়। আমরা এর বিচার চাই।
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply