একুশে সিলেট ডেস্ক
অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে ১৭ বছরের সাজা থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে বাবরের আইনজীবী বলেন, যৌথবাহিনী গ্রেপ্তারের ৭ দিন পর উদ্দেশ্যমূলভাবে এই মামলা দায়ের করা হয়। এজাহারে বলা হয়, একটি লাল-কালো ব্যাগ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। কিন্তু জব্দ তালিকায় সেই ব্যাগ ছিল না।
তিনি বলেন, যেই জিডিমূলে তাকে (বাবর) গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই জিডি আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ উপস্থাপনের আবেদন জানালেও সেটি মঞ্জুর করা হয়নি। এ ছাড়া মামলার নিরপেক্ষ দুইজন সাক্ষী (দারোয়ান এবং ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি) বলেছে, তাদের সামনে জব্দ করা হয়নি। শুধু তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০০৭ সালের ২৭ মে বাবরকে আটক করে যৌথবাহিনী। গ্রেপ্তারের ৭ দিন পর গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল লাইসেন্সহীন রিভলবার পাওয়ার অভিযোগে বাবরকে ১৭ বছরের সাজা দেন। তবে বিচারিক আদালতের এই সাজা অবৈধ ছিল বলে রায় পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে প্রায় ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির এই নেতা। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। সেইসব মামলা থেকে খালাস ও জামিনের পর ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
Leave a Reply