শামসুল কাদির মিছবাহ, সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জন নিহতসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার রাতে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জামাল হোসেন ও বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের অনুসারীদের সঙ্গে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোক্তার হোসেন ও বহিষ্কৃত যুবদল নেতা হযরত আলী অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে বুকে পাথরের ঢিল পড়ে মোহাম্মদ আলী নামে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি মুক্তার হোসেন ও হযরত আলী অনুসারীদের। তবে প্রতিপক্ষ এটিকে স্ট্রোকজনিত মৃত্যু বলে দাবি করছেন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, বাগলী ও ছাড়াগাঁও শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানিকৃত কয়লা ও পাথর টিসিগাড়ি দিয়ে মহিষখলা হয়ে কলমাকান্দা নেয়া হয়। সরু রাস্তায় নানান সমস্যার কারণে একাধিকবার এসব গাড়ি চলাচল এলাকাবাসী বন্ধ করে দেন।
এদিকে ১৫০০ টাকা করে চাঁদা নিয়ে মুক্তার হোসেন ও হযরত আলীর অনুসারীরা আবার এটি চালু করেন বলে দাবি অপর পক্ষের। সমস্যা সমাধানে দুইপক্ষ ইফতারের আগে বাজারে আলোচনায় বসে। আলোচনার একপর্যায়ে হযরত আলীর ভাই ও তার অনুসারীরা অপর পক্ষের তরুণ দলের নেতা মো. হারুনকে মারধর করেন। পরে তরুণ দলের নেতা হারুন তার অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে বাজারে অবস্থান নেয়। এসময় ঢিল ছোড়াছুড়িতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
এব্যাপারে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনু সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ হয়নি। স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
মধ্যনগর থানার ওসি সজিব রহমান জানান, ‘মৃত ব্যক্তির পরিবার মামলা করতে চাচ্ছেন না। এটিকে তারা স্ট্রোকজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’
Leave a Reply