রোজা অবস্থায় ‘স্বপ্নদোষ’ হলে গোসলের নিয়ম

রোজা অবস্থায় ‘স্বপ্নদোষ’ হলে গোসলের নিয়ম

একুশে সিলেট ডেস্ক
রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে অনেকে বিভ্রান্তের মধ্যে পড়ে যান। করণীয় ঠিক করতে গিয়ে বেশ মুশকিলেই পড়েন কেউ কেউ। কেউ আবার মনে করেন, রোজা ভেঙে যায়; তাদের ধারণা সঠিক নয়। রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে না। কারণ, স্বপ্নদোষ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঘটে। তবে বীর্যপাত হলে শরীর অপবিত্র হয়ে যায় এবং নামাজ আদায়ের জন্য গোসল ফরজ হয়। তাই রোজা নষ্ট না হলেও পবিত্রতা অর্জনের জন্য সঠিক নিয়মে গোসল করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিনটি বিষয় রোজা ভঙ্গ করে না—বমি, শিঙ্গা লাগানো এবং স্বপ্নদোষ।’ (বায়হাকি, ৪/২৬৪)

রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে সঙ্গে সঙ্গে গোসল করে নেওয়া উত্তম। ফরজ গোসলের মতোই গোসল করতে হবে। এজন্য আলাদা কোনো নিয়ম নেই। মনে রাখতে হবে, স্বপ্নদোষের পর পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল ফরজ হয়। সঠিক পদ্ধতিতে গোসল করা আবশ্যক।

গোসলের ফরজ কাজ তিনটি
১. কুলি করা। ২. নাকে পানি দেওয়া। ৩. সারা শরীর পানি দিয়ে এমনভাবে ধোয়া, যাতে দেহের চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনো না থাকে।

ফরজ গোসলের নিয়ম
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলে গোসল শুরু করা। উভয় হাতের কবজি পর্যন্ত ধোয়া। বাঁ হাতে পানি দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা।
কাপড়ে বা শরীরের কোনো অংশে নাপাক কিছু লেগে থাকলে তা ধুয়ে নেওয়া। পা ধোয়া ছাড়া অজু করে নেওয়া। গোসলের তিন কাজ— কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া এবং পুরো শরীর ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া। যাতে শরীরের একটি লোমকুপও শুকনো না থাকে। গোসলের স্থান থেকে একটু সরে এসে উভয় পা ভালোভাবে ধোয়া।

গোসল বিলম্ব করা যাবে না
স্বপ্নদোষের পর দ্রুত গোসল করা উচিত, যাতে নামাজের সময় চলে না যায়। অনেকেই দেরি করেন, যা অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ পবিত্রতা ছাড়া গ্রহণযোগ্য নয়।’ (সহিহ মুসলিম, ২/১৭৩)।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff