ধর্মপাশা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে জামালগঞ্জ উপজেলায় প্রতি বছরের ন্যায় সৌদি আরব হতে অসহায় গরীবদের জন্য আসা দুম্বার মাংস উদাও হওয়া খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে জামালগঞ্জের অসহায়দের জন্য বরাদ্দকৃত দুম্বা উদাও হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলায় বরাদ্দকৃত দুম্বা। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় হতে বরাদ্দকৃত দুম্বা জামালগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার অফিসে গত শনিবারে আসার সঙ্গে সঙ্গে জামালগঞ্জের প্রশাসনের শুয়া দুম্বা উদাও। সাধারণ মানুষ দুম্বার মাংস আসছে বলে শুনেননি বলে জানান স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
গোপন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা অফির্সাস ক্লাবে ভোজনের আয়োজন করে দুম্বার মাংস ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। এই নিয়ে উপজেলার সাধারণ মানুষের হৈ চৈ শোনতে পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী জয়নাল, কাশেম, আবু সাইদ, রফিক, রাবেয়া, তাহমিনা জানান, আমরা শুনেছি দুম্বার মাংস আইছে, কিন্তু কোন দিন খাওয়ার তো দূরের কথা চোখে দেখিনি।
স্থানীয় আবু রায়হান বলেন, ছোট বেলায় এই দুম্বার গুস্ত খেয়েছিলাম, এখনও কি দুম্বা আসে জামালগঞ্জ, আমরা এই অবুঝ মণ, ত্রিশ বছরের দুম্বার হিসাব চাই।
হিউম্যান রাইটস ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ জামালগঞ্জ শাখার সভাপতি নুরুল হক বলেন, জামালগঞ্জের জনতার পক্ষ থেকে যে অসম বন্টন বা অস্পষ্টতার অভিযোগের গুঞ্জন উঠেছে তা প্রশাসন কর্তৃক, দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে পরিষ্কার করা উচিত বলে মনে করি।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. এরশাদ হোসেন বলেন, আমরা দুটি রাজা হাঁস নিয়ে খেয়েছি। মোট ২৪ কাটন দুম্বার মাংস আসছে, এর মধ্য ৬টি ইউনিয়নে ২১ টি এতিমখানা মাদরাসায় বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সাচনাবাজার মাদরাসার মাওলানা আজিজুল হকের সহযোগিতায় বিতরণ করি। পিআইও কাছে দুম্বার মাংস বিতরণ কৃত প্রতিষ্ঠানের তালিকা চাইলে তিনি দিতে পারেন নাই।
এ ব্যাপারে সাচনা বাজার মাদরাসার মাওলানা আজিজুল হকের জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে কোন তালিকা নাই, আমি নিয়েছি।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুর বলেন, দুম্বার মাংস প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিতরণের দায়িত্ব ছিলন, তিনি যথাযথভাবে বিতরণ করেছে বলে আমাকে জানান, তারপরও যদি কোন কথা থাকে আমাকে জানালে ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply