গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার বর্তমান ওসি শাহ হারুন অর রশীদের অপকর্ম নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে তাকে বদলি করা হয়েছে। তার জায়গায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে স্থলভিষিক্ত হয়েছেন সরকার তোফায়েল আহমদ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সিলেট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এক আদেশে তাকে গোয়াইনঘাট থানা থেকে পুলিশ লাইনসের আর ও শাখায় বদলি করেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে ওসি হারুন অর রশিরের বিরুদ্ধে নানান অভিােযগ চলে আসছিল। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরের শক্তিয়ারখলা গ্রামে। বাবার নাম মৃত শাহ মো. আব্দুছ ছাত্তার। পড়াশোনা করেছেন সিলেট এমসি কলেজে। পুলিশে যোগদানের পর থেকে নানান কারণে হয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত। বিশেষ করে উপ-পরিদর্শক থাকাকালে সিলেটের বিয়ানীবাজার ও আজমিরিগঞ্জ থানায় নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে পড়েছিলেন শাস্তির মুখে। ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা ও জালালাবাদ থানায় এবং শিল্পাঞ্চল পুলিশ ঢাকা, কোর্ট ইন্সপেক্টর সিলেট। সর্বশেষ পদায়ন করা হয় সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে।
তাছাড়া সর্বশেষ গোয়াইনঘাট থানায় বিনা কারণে আটকে রেখে রাত ১টায় দৈনিক সোনালী কণ্ঠ’র ব্যুরো প্রধান মো. ইসলাম আলীর বিরুদ্ধে বিনা তদন্তে মামলা রেকর্ড করে আবারো আলোচনায় আসেন ওসি শাহ হারুন অর রশীদ। এসময় গোয়াইঘাটজুড়ে তার এই ফটিং মামলা নিয়ে আলোচনা-সামালোচনা হয়। উপজেলাজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে গ্রেফাতার করে আইনের আওতায় আনাতে সরকারের কাছে দাবি জানান সচেতন সমাজ।
দেশে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের পর স্বঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা শাহ হারুন অর রশীদের ওসি হিসেবে পদায়ন নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। তিনি নিজেকে শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক পরিচয় দিতেন এবং আওয়ামী লীগের সব ধরনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি নিজে সব সময় বলতেন- আমি আপার লোক, নৌকার লোক, আওয়ামী লীগ নেতা।
Leave a Reply