লন্ডন প্রতিনিধি
মানবাধিকার সংগঠন স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসর সহসভাপতি শেরওয়ান আলী বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা ও অন্যতম দোসর মুজিভক্ত আবিদা ইসলামকে অভলিম্ব অপসারণ করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সময় তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দেখেও বর্তমান অন্তবর্তকালীন সরকার হাসিনার দোসর আবিদার মতো ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছে। যা জুলাই বিপ্লবের শহিদ ও আহতদের রক্তের সাথে বেইমানী।
সোমবার (৭ এপ্রিল ) দুপুরে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে মানবাধিকার সংগঠন স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসর আয়োজনে ফ্যাসিবাদ হাসিনার দোসর ‘মুজিবভক্ত’ আবিদা ইসলামের পদত্যাগ ও সরকার কর্তৃক অপসারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আবিদা ইসলাম মেক্সিকো ও কোরিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেত্রীর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন যা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামীমী লীগ আমালে তিনি মুজিবের বাণী প্রচার করেছেন মেক্সিকো ও কোরিয়া। ব্যক্তিগত খরচে ৫ লাখ টাকা ব্যয় করে মেক্সিকোতে দূতাবাসের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি স্থাপন করেন। তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল ভেঙে আওয়ামী লীগের অনলাইন মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আগস্ট বিপ্লবের প্রথম সপ্তাহে শেখ মুজিবের আত্মজীবনী স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশের জন্য তিনি প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয় করেন এবং কয়েক হাজার কপি ছাপানোর উদ্যোগ নেন। এরপর, ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি অফিসে অনিয়মিত হয়ে সরকারি কাজ বাসা থেকে পরিচালনা করতে থাকেন।”
এছাড়া বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, আবিদা ইসলামের লন্ডনে হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগে সহায়তা করেন তার একসময়ের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি মাহবুব হাসান সালেহ, যিনি বুয়েট ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। সালেহ ছিলেন বর্তমান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদের মধ্যস্থতায় আবিদা ইসলামকে লন্ডনে পোস্টিং দেওয়া হয়।
শেরওয়ান আলী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, যেখানে আবিদা ইসলাম ও সালেহ মিলে শেখ হাসিনাকে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মত তৈরি করার চেষ্টা করছেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব। আবিদা ইসলামের অবিলম্বে পদত্যাগ ও তাকে যুক্তরাজ্য থেকে প্রত্যাহার না করা হলে আমরা কঠোর আন্দোলন শুরু করব। প্রয়োজনে আমরা বাংলাদেশের সরকার প্রধানের বিরুদ্ধেও আন্দোলনে নামতে দ্বিধা করব না।