একুশে সিলেট ডেস্ক
আগামী ২১ জুন আর্ন্তজাতিক যোগ দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক যোগ সেশনের আয়োজন করেছে ইয়োগা, ইমেজ ডেভলাপমেন্ট, মেন্টেল ও ফিজিক্যাল হেলথ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপল এ’। গতকাল শুক্রবার ( ৪ এপ্রিল) বিকেলে সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গালস্থ ‘ট্রিপল এ’ কার্য্যালয়ে যোগপর্বটি সম্পন্ন হয়।
সিলেটস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী হাই কমিশনার চন্দর শেখর, বিশেষ অতিথি ছিলেন হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব ( শিক্ষা, প্রেস, বাণিজ্য ও সংস্কৃতি) মানস কুমার মুস্তাফী।
আবৃত্তি ও চারুশিল্পী ঋতশ্রী দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন ‘ট্রিপল এ’- এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইয়োগা প্রশিক্ষক পদ্মশ্রী দে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চন্দর শেখর বলেন, যোগাশাস্ত্র ভারতবর্ষের অতি প্রাচীন একটি বিদ্যা এবং মানবের কল্যাণে এক মহৎ উদ্ভাবন। যোগ-ব্যায়াম আজ গোটা বিশ্বে সমাদর। বিশ্বের প্রায় সকল দেশে এ শিক্ষার প্রসার ঘটছে। বাংলাদেশেও মানুষের কল্যাণে যোগাশাস্ত্র কাজে লাগাতে হবে। ‘ট্রিপল এ’ সিলেটে ইয়োগা মেডিটেশন নিয়ে কাজ করছে যা অত্যন্ত আনন্দের ও প্রশংসার বিষয়। এতে সকলের ভালো হবে। আমরা চাই ‘ট্রিপল এ’ প্রতিষ্ঠানটি আরও সমৃদ্ধ হোক এবং এগিয়ে যাক।
আগামী ২১ জুন আর্ন্তজাতিক যোগ দিবস সিলেটে আয়োজনের জন্য একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ‘ট্রিপল এ’ -এর সকল মানবিক কাজে সব সময় পাশে থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মানস কুমার মুস্তাফী বলেন, যোগা সুস্থতার জন্য টনিকস্বরূপ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাঠ্যসূচিতেও যোগাশিক্ষাকে যুক্ত করা হয়েছে। ‘ট্রিপল এ’ ইয়োগাসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছে যা সিলেটের মানুষের উপকারে লাগবে। ‘ট্রিপল এ’-এর কর্মকাণ্ড দেখে আমি মুগ্ধ। এটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সকলের কর্তব্য। শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ যে কোনো মানবকল্যাণকর কাজে আমরা সব সময় সহযোগিতা করবো ।
স্বাগত বক্তব্যে পদ্মশ্রী দে বলেন, বর্তমান সময়ে ইয়োগা, প্রাণায়াম, মেডিটেশন সহ মেন্টেল ও ফিজিক্যাল হেলথের বিষয়ে দেশের মানুষকে সচেতন করে তোলা অত্যন্ত জরুরি কাজ। ‘ট্রিপল এ’ দেশের কল্যাণেই কাজ করে চলেছে।
প্রস্তুতিমূলক যোগ সেশনে উপস্থিত ও সহযোগিতার জন্য তিনি ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শিক্ষক-লেখক সঞ্জয় কুমার নাথ এবং শিল্পী-সাংবাদিক রবিকিরণ সিংহ।
দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় সাবেক আইসিসিআর স্কলার পদ্মশ্রী দের পরিচালনায় ইয়োগা সেশন। এ পর্বে বিভিন্ন ধরণের আসন, মুদ্রা, প্রাণায়াম ও থেরাপি অনুশীলন করা হয়।
শেষ পর্বে চলে আপ্যায়ন, সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি ও আনন্দ-আড্ডা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন রবিকিরণ সিংহ, নিরঞ্জন দে ও মানস কুমার মুস্তাফী প্রমুখ। আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী ও প্রশিক্ষক, চারুবাকের প্রতিষ্ঠাতা জ্যোতি ভট্টাচার্য্য। অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর অনাড়ম্বর পরিবেশে পুরো অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
Leave a Reply