আন্তজার্তিক ডেস্ক
ফ্রান্সে সাবেক এক সার্জনের বিরুদ্ধে ২৯৯ রোগীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম জোয়েল লে স্কুয়ার্নেক। শুক্রবার তার বিরুদ্ধে আদালতে বিচার শুরু হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অন্তত ২৯৯ রোগী তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের বেশিরভাগের বয়স ১৫ বছরের কম। তাদের অজ্ঞান অবস্থায় বা জ্ঞান ফেরার পর তিনি ধর্ষণ করেন।
বাড়িতে আসা শিশুদেরও শিকার বানানোর কথা আদালতে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। তিনি বলেন, আমি সুযোগ পেলে আমার এক সন্তানের বন্ধুকেও নির্যাতন করতাম। এ ঘটনাকে আদালতে মামলার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী ওই সময়ে শিশু ছিলেন।
ওই নারী আদালতকে জানান, ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে তিনি তাদের বাড়িতে যাওয়ার সময় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। মাত্র ছয় বছর বয়সে একটি কামরায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় তার মা ও চিকিৎসকের স্ত্রী ব্সার ঘরে কথা বলছিলেন।
তিনি জানান, কয়েক সপ্তাহ পর তাকে বাথরুমে একা পেয়ে আবারও ধর্ষণ করেন ওই চিকিৎসক। এক কয়েক মাস পর আবারও তাকে তিনি আলাদা করার চেষ্টা করেন। তবে তখন তিনি দৌড়ে মায়ের কাছে ফিরে যান।
অভিযুক্ত চিকিৎসক বলেন, অনেক ঘটনা তার মনে নেই। তবে বাথরুমের ঘটনা মনে করতে পারেন বলে স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, আমার ছেলে বান্ধবীদের বাড়িদে আনলে আমি তাদের নিপীড়ন করতাম। সেদিন আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। যখন তাকে টয়লেটে যেতে দেখি তখন আমি এমনটা ঘটাই।
চিকিৎসকের এ মামলাটি ফরাসি আদালতে অন্যতম বৃহৎ শিশু যৌন নির্যাতনের মামলার একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, অপারেশনের সময় তিনি রোগীদের নির্যাতন করেছেন। তার কর্মজীবনের শেষ পর্যন্ত এসব অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে কার্যকর কোনো তদন্ত চালু হয়নি।
এর আগে ২০০৫ সালে শিশুদের যৌন নিপীড়নের ছবি রাখার দায়ে তাকে অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০১৭ সালে তিনি অবসর নেন। এরপর ছয় বছর বয়সী এক শিশু এক শিশু তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। এ ছাড়া পুলিশ তার কম্পিউটারে সংরক্ষিত নির্যাতনের ডায়েরি ও অন্যান্য বিবরণ উদ্ধার করে।
Leave a Reply