স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় অভিযোগ দেওয়ায় হামলার শিকার হলেন ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার দুই চালক। এমন অভিযোগ এনে গত ২০ নভেম্বর ৬জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করেছেন আহত চালক ছালিক মিয়া (৬০), মামলা নং-১০।
তিনি উপজেলার বিদায়সুলপানি গ্রামের মৃত হাসমত উল্লাহর ছেলে। অপর আহত চালক রতন মিয়া মজলিস ভোগশাইল গ্রামের আলু মিয়ার ছেলে। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন হরিকলস গ্রামের মৃত কাদির মিয়ার ছেলে সালাহউদ্দিন (৩০), বিদায়সুলপানি গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে বদরুল মিয়া (২৫), বিশ্বনাথ পুরান বাজারের খসরু মিয়া (৩৫), রবি দাশ (২৭), মনির উদ্দিন (৩০) ও শরিষপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে খালেদ (২৫)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ পুরান বাজার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নাম ব্যবহার করে অভিযুক্তরা ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালকদের কাছ থেকে দৈনিক চাঁদা ও রেজিস্টেশনের নামে টাকা আদায় করে আসছেন। চাঁদা আদায়ে অতিষ্ট হয়ে চালকদের পক্ষে সম্প্রতি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ছালিক মিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা গত ১৭ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় ছালিক মিয়া ও রতন মিয়াকে বিশ্বনাথ পুরান বাজারের একটি দোকানে ডেকে নিয়ে মারধর করে চাঁদা দাবি করেন। এতে দুজনই আহত হন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পুরান বাজার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সালাহউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম বলেন, আঙ্গারুকা ব্রীজ বন্ধ থাকায় নতুন স্ট্যান্ড হয়। এই স্ট্যান্ডে শৃঙ্খলা আনতে চালকদের অনুরোধে স্থানীয় মুরব্বিদের সাথে নিয়ে একমাস আগে সমিতি করা হয়। এতে ছালিক মিয়াকেও মেম্বার করা হয়। কিন্তু এখন ভূয়া একটি মামলা করে আমাদের হয়রানী করছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আপোষের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় মুরব্বিরা। তবে, হয়রানীমূলক এ মিথ্যা মামলার প্রতিবাদও জানান তারা।
এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রুবেল মিয়া বলেন, আদালতের আদেশে মামলা নেয়া হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে।
Leave a Reply