স্টাফ রিপোর্ট
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেটের রাজনীতিতে বইছে নতুন হাওয়া। বিশেষ করে সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব, প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর কন্যা ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী।
পিতার রাজনৈতিক দেখানো পথেই হাঁটছেন ব্যারিস্টার সামিরা। বিএনপির শাসনামলে হারিছ চৌধুরী সিলেট বিভাগজুড়ে যে ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন, সেই স্মৃতিকে পুঁজি করে এবং নিজের যোগ্যতা ও কর্মোদ্যোগ দিয়ে তিনি স্থানীয় জনগণের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন এমন একটি আসনের যেখানে থাকবে না কোনো বৈষম্য।
শুধু রাজনৈতিক ঐতিহ্য নয়, ব্যারিস্টার সামিরার উচ্চশিক্ষা, তরুণ প্রজন্মের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা এবং ক্লিন ইমেজ তাঁকে এক ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের তরুণ ভোটাররা মনে করছেন, সামিরার মতো একজন শিক্ষিত ও আধুনিক চিন্তার প্রার্থীই এলাকার ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন। বর্তমানে বহুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়া স্থানীয় রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কারিগর হিসেবেও তাঁকেই দেখছেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এলাকার ‘নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতি’ থেকে বেরিয়ে আসতে সামিরার মতো একজন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীই হতে পারেন বিএনপির সেরা পছন্দ।
২০০৭ সালের পটপরিবর্তনের পর দেশে ফিরে পিতার নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে তিনি সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। দলের দুঃসময়ের সঙ্গী, ত্যাগী নেতাকর্মীরাও তাঁর মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন নতুন প্রেরণা।
বিএনপির একাধিক নেতার ভাষায়, “ব্যারিস্টার সামিরা শুধু উচ্চশিক্ষিতই নন, তিনি তাঁর পিতার মতোই নির্লোভ এবং একজন লড়াকু নেত্রী। তিনি কেবল দলের নন, সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভাবেন।” এই কারণেই তৃণমূল থেকে তাঁর সামিরা চৌধুরীর পক্ষে জোরালো সমর্থন উঠে আসছে।
সব মিলিয়ে, পিতার জনপ্রিয়তা, নিজের যোগ্যতা এবং তৃণমূলের সমর্থনে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী সিলেট-৫ আসনে বিএনপির জন্য এক শক্তিশালী সম্ভাবনা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, যা আগামী দিনের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
Leave a Reply