এম,এ আহমদ আজাদ,নবীগঞ্জ
নবীগঞ্জের জনতার বাজার এলাকায় পুলিশের উপর হামলা ঘটনায়, ঐ মামলায় একটি বাস যোগে আদালতের জামিনের জন্য ঢাকায় উচ্চ যাওয়ার পথে নবীগঞ্জ থানার মামলা নং ২১ এজাহারনামীয় ২৮ জন আসামিকে র্যাব-১৪ এর সিপিসি -২ এর সহায়তায় নরসিংদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানায়ায় গত ৩১ মে নবীগঞ্জ উপজেলার জনতার বাজার পশুর হাট অপসারণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রায় ৭০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হাট এলাকায় অভিযান চালান। একপর্যায়ে হাট কমিটির সদস্য ও অন্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাঁদের কাজে বাধা দেন। তাঁরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকদারকে টেলা ধাক্কা ও লাঞ্চিত করা হয়। এরপরও দিনজুড়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পশুর হাট চালু রাখে হাট কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় পরদিন ১ জুন পানিউমদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। এমামলায় গত রবিবার(২৯ জুন) দুপুরে জনতার বাজারে সেনাবাহিনী,পুলিশ ও র্যাবের যৌথ জটিকা চিরুনি অভিযানে ১৩জনকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ২৮ জুন শনিবার ভোররাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের নজর উদ্দিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করতে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে নবীগঞ্জ থানা ও গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একটি পুলিশ দল অভিযান চালায়। নজর উদ্দিনের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ সময় অন্য আসামিরা গ্রামের মসজিদে ‘ডাকাত এসেছে’ বলে মাইকিং করেন। এতে গ্রামের দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালান এবং পুলিশের কাছ থেকে নজর উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয় এবং সংঘর্ষে পুলিশের একটি ভ্যান ও দুটি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়। এতে নবীগঞ্জ থানার কনস্টেবল শাহ ইমরান (২৭), মোজাম্মেল হক (২৫) ও পল্টন চন্দ্র দাশ (২৫) আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যরা নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এঘটনায় ১৩জনকে আটক করা হয়। এঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলা হয়, মামলা নং ২১, তারিখ ২৮/০৬/২০২৫ ধারা- ১৪৩/১৮৬/৩৪১/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/২২৪/২২৫/৫০৪/১০৯/১১৪/৩৪ পেনাল কোড। এই মামলার এজাহার নামীয় ২৮ কে গতকাল গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন,মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া,সাজ্জাদুর রহমান সোহেল,রাসেল আহমদ,কাজী রিপন আহমদ,গোলাম হোসেন রিপন,লুৎফুর রহমান, আব্দুল ওয়াহিদ,মোস্তাকিন আহমদ,আজির উদ্দিন,নুর মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুশ শহীদ, মোঃ আব্বাস মিয়া, মোঃ সুফায়েল আহমদ, আমান উল্লাহ, মোঃ রুবেল মিয়া, মোঃ জিতু মিয়া, হারিছ মিয়া, সুমন মিয়া, ফয়েজ আহমদ, জামাল হোসেন, আশ্বব আলী, খায়রুল ইসলাম, আফজল মিয়া, আনর মিয়া, আব্দুল বাছিত, আব্দুল আউয়াল ও মোহাম্মদ শাযেক মিয়া । এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ কামরুজ্জামানকে বারবার ফোন করা হলে তিনি ফোস রিসিভ করেননি।
Leave a Reply