বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
বিয়ানীবাজার পৌরশহরের সাব-রেজিস্টার অফিসের সামনে অবস্থিত জেলা পরিষদের মালিকাধীন পুকুরের পাড় অবৈধ দখল মুক্ত, বন্দোবস্ত বাতিল এবং পুকুর পাড়ে ‘ওয়াক ওয়ে’স্থাপনের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার বিয়ানীবাজার গণ অধিকার ফোরামের নেতৃবৃন্দরা সিলেটের বিভাগী কমিশনারের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
দীর্ঘদিন থেকে জেলা পরিষদের এ পুকুরপাড় ঘিরে একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে যারা বন্দোবস্ত নিয়ে ঘর নির্মাণ করেছেন তাদের বেশিরভাগ ভাড়া খাটোচ্ছেন। হাতেগোনা কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। সম্প্রতি এ পুকুর পাড়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও সাব রেজিস্টার অফিস সংলগ্ন অংশ রাতের আঁধারে দখল হওয়ায় নড়েচড়ে বসেন প্রশাসনের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পুকুর পাড় দখল মুক্ত করতে প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের অবহিত করার পাশাপাশি মানববন্ধন করা হয়েছে।
প্রধান সড়ক ঘেঁষে থাকা জেলা পরিষদের পুকুরপাড়টি দখল ও বন্দোবস্ত মুক্ত করে সাধারণের জন্য ওয়াক ওয়ে স্থাপনের দাবি জোরালো হয়েছে। এর মধ্যে গত ১২ জুলাই বিয়ানীবাজার গণ অধিকার ফোরাম মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। এ সংগঠন থেকে ১৩ জুলাই সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বন্দোবস্ত বাতিল, অবৈধ দখল মুক্ত করে পুকুরপাড়টি ওয়াক ওয়ে নির্মাণ এবং পুকুরের পানি ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানানো হয়।
বিয়ানীবাজার গণ অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ বলেন, সর্ব সাধারণ প্রয়োজনে লাগবে পুকুরটি সেইভাবে কাজে লাগানো উচিত। শহরের মধ্যে একমাত্র সরকারি এ পুকুরটির পাড় দখল, লিজের কারণে অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের দাবি বন্দোবস্ত বাতিল ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে ওয়াক ওয়ে নির্মাণ এবং পুকুরের পানি ব্যবহার উপযোগী করা।
এ বিষয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো.রেজা-উন-নবী বলেন, বিয়ানীবাজারে এই পুকুর নিয়ে আমি জেনেছি সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেখতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ কোনো ভাবেই রাষ্ট্রের দখলের বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নাই।
Leave a Reply