সিলেটে পাথরকাণ্ডে ওএসডি ডিসি, ইউএনওকে বদলি

সিলেটে পাথরকাণ্ডে ওএসডি ডিসি, ইউএনওকে বদলি

স্টাফ রিপোর্টার

ওএসডি হওয়া সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। শুরু হয়েছে ব্যাপক রদবদল। এরইমধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. সারোয়ার আলম। তিনি উপসচিব পদমর্যাদায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এর আগে দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।

সিনিয়র সহকারী সচিব পদে থাকাকালীন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিন শতাধিক ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত ছিলেন সারওয়ার আলম। ভেজাল, অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

২০২০ সালের ৯ নভেম্বর তাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়। তিনবার বঞ্চিত হওয়ার পর গত বছরের ১৪ আগস্ট উপসচিব পদে পদোন্নতি পান তিনি।

এ ছাড়া সাদাপাথরকাণ্ডে কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুন্নাহারকে ফেঞ্চুগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুটের ঘটনার পরিবেশবাদী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছিল।

এর আগে রোববার (১৭ আগস্ট) সাদাপাথর ও জাফলংয়ের পাথর লুটের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। একইসঙ্গে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

এর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঘোষণার বাস্তবায়ন শুরু হলো সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে দিয়ে। যদিও ওএসডি করার কারণ প্রসঙ্গে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি।

উল্লেখ্য, সাদাপাথর লুটের ঘটনা জানাজানি হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। তখন শের মাহবুব মুরাদ প্রশাসনের কোনো দোষ বা দায় ছিল না বলে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন।

এ ছাড়া, সমালোচনার মুখে বদলি হলেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহারও। সোমবার (১৮ আগস্ট) তাকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সোমবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের বদলি করা হয়।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইউএনও আজিজুন্নাহারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। লুটপাট বন্ধে দায়িত্বশীল আচরণ না করে উল্টো লুটপাটে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত কয়েকদিন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিল।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff