স্পোর্টস ডেস্ক
রদ্রিগো ডি পলের কাছ থেকে যখন বক্সের বাইরে বল পেলেন ম্যাচ তখন ১-১ সমতায়। বল নিয়ে প্রতিপক্ষের আগোয়ান দুজনকে কাটিয়ে বক্সের উপর থেকে আচমকা কোনাকুনি শট নিলেন, গড়ানো সেই শটের নাগাল পেলেন না গোলকিপার। বল গোললাইন অতিক্রম করতেই ধারাভাষ্যকার বললেন, ‘ম্যাজিক্যাল মেসি…।’ আরেক ধারাভাষ্যকার যোগ করলেন, ‘বেশির ভাগের কাছেই এই গোল স্পেশাল, মেসির জন্য নরম্যাল।’ চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে মেসির যেমন করেছেন চোখে লেগে থাকার মতো গোল, ইন্টার মায়ামিও পেয়েছে দুর্দান্ত এক জয়।
চোট কাটিয়ে তিন ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই ইন্টার মায়ামির জয়ের নায়ক মেসি। মেজর লীগ সকারে তার দল ৩-১ গোলে হারাল লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সিকে। সাপোর্টার্স শিল্ড জয়ের লড়াইয়ে ২৪ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় পাঁচে আছে মায়ামি শীর্ষে থাকা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৫২, তবে ম্যাচ খেলেছে তারা ২৭টি। আর গত বছরের মেজর লীগ সকারের কাপ শিরোপা জয় করা গ্যালাক্সি সবশেষ ম্যাচে জয়হীন। ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে ২৪ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পাঁচে।
এদিন প্রথমার্ধের শেষ দিকে জর্ডি আলবার গোলে লিড নেয় মায়ামি। গ্যালাক্সি সমতায় ফেরে ৫৯তম মিনিটে। ৮৪তম মিনিটে গোল করেন মেসি। এবারের লিগে ১৯ গোল নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টাইন মহাতারকা। পাঁচ মিনিট পর তার সহায়তা থেকে গোলের দেখা পান লুইস সুয়ারেজ।
ম্যাচের ৪৬ শতাংশ সময় বল ছিল মায়ামির নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তারা গোলে শট নেয় ২৯টি। তবে লক্ষ্যে ছিল স্রেফ ৮টি শট। ৩০তম মিনিটে তেলাস্কো সেগোভিয়া বল জালে পাঠালেও গোল পায়নি মায়ামি। মনিটরে দেখে অফসাইডের ঘোষণা দেন রেফারি।
৪৩তম মিনিটে আলবার গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। গোলটির বড় কৃতিত্ব যদিও সার্জিও বুসকেটসের। মাঝমাঠ থেকে অসাধারণ এক ডিফেন্সচেরা পাস দেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা। বক্সের মাথায় সেই বল ধরে গোলকিপারকে সুযোগ না দিয়ে জালে পাঠান আলবা।স্কোয়াডে নাম থাকলেও শুরুর একাদশে ছিলেন না মেসি। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি নামতেই বদলে যায় মায়ামির খেলার ধরণ। মাঠে নামার ১২ মিনিটের মাথায় মেসির বাঁ পায়ের শট একটুর জন্য ওপর দিয়ে চলে যায়।দুই মিনিট পরই সমতায় ফেরে গ্যালাক্সি। বাঁ পাশ থেকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে আরেকজনকে দারুণভাবে বিভ্রান্ত করে বল জালে পাঠান জোসেফ পেইন্টসিল। গোল হজমের পর আক্রমণের ধার আরও বাড়ে মায়ামির। ৬৮তম মিনিটে মেসির পাস থেকে সুয়ারেজের শট ঠেকিয়ে দেন গ্যালাক্সির গোলকিপার।
৭৭তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বালতাসার রদ্রিগেসের দুর্দান্ত শটে কোনোরকমে আঙুল ছুঁইয়ে বল ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন গ্যালাক্সির গোলকিপার। ৮৯তম মিনিটে দে পলের পাস থেকে দুর্দান্ত এক ব্যাকহিলে বক্সের ভেতর সুয়ারেসকে খুঁজে নেন মেসি। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯ ম্যাচের মধ্যে ‘রানিং প্লে’ থেকে সুয়ারেসের প্রথম গোল এটি।
Leave a Reply