গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র জাফলং জিরো পয়েন্টে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে প্রতিস্থাপন করছে উপজেলা প্রশাসন। গত দিন দিনের অভিযানে লুট হওয়া বিপুলে পরিমাণ পাথর উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় কোন প্রকার মামলা বা আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন।
সবশেষ শনিবার গোয়াইনঘাটের ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি এলাকা থেকে ২৫০০ ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
এরআগে শুক্রবার জাফলং থেকে লুট হওয়া প্রায় ৭ হাজার ঘনফুট পাথর জৈন্তাপুরের আসামপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)।
গত ১১ আগষ্ট রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার ইউএনও রতন কুমার অধিকারী গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমদসহ গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে জাফলং জিরো পয়েন্ট পর্যটন এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে নিয়ে জাফলং জিরো পয়েন্ট পাথরের রক্ষায় জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দেন তিনি।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত জাফলংয়ের ইসিএভুক্ত এলাকায় প্রকাশ্যে বালু-পাথর লুটের ঘটনা ঘটে। লুটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরে মামলা হলেও অদৃশ্য কারণে সেই মামলা এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
বিএনপি নেতা জাফলংয়ের শাহ আলম স্বপন ও রফিকুল ইসলাম শাহপরান পাথর লুটের সাথে অভিযুক্ত থাকায় তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জাফলং পাথরে বালু, লুটপাটে জাফলংয়ের শাহ আলম স্বপন ও রফিকুল ইসলাম শাহপরান সিন্ডিকেটের মধ্য লুটপাটের বাটোরা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে কয়েকবার। তার পরেও থেমে নেই লুট পাট। প্রতিদিনের লুটপাটের লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ হয়েছে ওই নেতাদের।
সাদা পাথর ও জাফলং ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর গোটা দেশের পর্যটক মহলে যখন হতাশা এবং ক্ষোভ, ঠিক তখনই বুধবার গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী জানান, পাথর উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি, এখন পর্যন্ত আমরা সাড়ে আট হাজার ঘন ফুট পাথর জব্দ করে জাফলং পর্যটন স্পটে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। পাথর লুটপাট কারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রক্রিয় চলমান।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমদ বলেন, জাফলং পাথর লুটের ঘটনার খবর পেলেই ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্কফোর্সের টিম অভিযান চালায়। আমরা পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করছি। এছাড়া নিয়মিত ওই এলাকায় টহল দেয়া হয়।
Leave a Reply