সর্বশেষ :
তামাবিল স্থলবন্দর ও কাস্টমসে অনিয়মই এখন নিয়ম

তামাবিল স্থলবন্দর ও কাস্টমসে অনিয়মই এখন নিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার

অনিয়মের মহোৎসব চলছে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে। অনিময়ই এই স্থলবন্দরের নিয়ম। প্রতিদিন ৪০০-৫০০শ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। আর এসব ট্রাক নামমাত্র ওজনে ছেড়ে দিয়ে বড় ধরনে ঘাপলা করছেন বন্দর ও কাস্টম কতৃপক্ষ।

জানা যায়, বন্দরে ঢোকা প্রতি গাড়ির ওজন ৭.৫/৮ টন তবে কৌশলে এগুলো ৯ টন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, কর্তৃপক্ষের সদস্য ও সিএনএফ এজেন্ট। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে এরকম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রতিদিন।

জানা যায়, ভারতীয় পাথরবাহী প্রতিটি ট্রাক থেকে কারপার্স বাবদ বন্দর কর্তৃপক্ষ ৭০ টাকা এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৩০০ টাকা করে নিচ্ছে। এর বাইরে অতিরিক্ত পণ্যের ট্যাক্স হিসেবে প্রতিটি ট্রাক থেকে প্রায় ৭৯০ টাকা করে আদায় করছেন কিছু লাইসেন্সধারী ও লাইসেন্সবিহীন সিএনএফ এজেন্ট।

এছাড়া আইন অনুযায়ী পণ্য খালাসের পর কমপক্ষে ৩০% খালি গাড়ির ওজন নির্ধারণের নিয়ম থাকলেও এখানে তার বালাই নেই । ফলে বন্দরে খালি গাড়ির প্রকৃত ওজন না মেপে গড় ৯ টন ধরে হিসাব করা হচ্ছে। বাস্তবে অনেক খালি ট্রাকের ওজন ৭.৫ থেকে ৮ টনের মধ্যে হলে সেগুলো বন্দরের বাতাসেই ৯ টন হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে ।

একাধিক ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতিদিন ৪০০-৪৫০টি পাথরবাহী ট্রাক তামাবিল বন্দরে প্রবেশ করে। কারপার্সের বাইরে অতিরিক্ত ট্যাক্স বাবদ প্রতিটি ট্রাক থেকে প্রায় ৯৭০ টাকা করে আদায় হলেও এর পুরো অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। বন্দর, কাস্টমস ও সিএনএফ এজেন্টদের মধ্যে ভাগাভাগি হয় এই টাকা। তাদের হিসাবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা, মাসে ২-৩ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।

ব্যাবসায়ীরা জানান, এই অনিয়মের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ক্ষতির মুখে নিঃস্ব হয়ে ব্যবসা গুটিয়ে চলে যেতে বাদ্য হয়েছেন।

এ ব্যাপারে তামাবিল কাস্টমসের সুপার ইয়াকুব জাহিদ বলেন, ৭০ বা ৩০০ টাকা হারে কিংবা অতিরিক্ত ৯৭০ টাকা আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রতিটি গাড়ির ওজন নেওয়া হয়। এসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।

তামাবিল পোর্টের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার গাড়ির ওজন পরিমাপ করি । প্রতিবেদক অভিযোগের ব্যাপারে জিঞ্জেস কররে বলেন, কিছু গাড়ি ৮/৯ টন হয় সবগুলো গাড়ি তো মাপা সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারী তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff