একুশে সিলেট ডেস্ক
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অধিকাংশ ভোট পাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ রবিবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
নেতাকর্মীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষ জানতে চায়—দেশের ভষিষ্যৎ কী?। কেন জানতে চায়। আপনাদের কী ধরাণা আছে কেন জানতে চায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায়। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রথম চাওয়া প্রতিষ্ঠা হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অধিকাংশ ভোট পাবে। এরপর আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আসবে। এসব মোকাবেলার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের আস্থা ধরে রাখা এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ দেশের জনগণ মনে করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণে বিএনপি আড়াই বছর আগেই রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১টি দফা উপস্থাপন করেছিল। এখন অনেকেই রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছেন। অন্তবর্তী সরকারও একটি সংস্কার কমিশন করেছে। বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছে। আমরা বিশ্বাস করি এই দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মানুষের জীবনযাপন উন্নত করতে হলে কতগুলো ব্যাপারে সংস্কার করতে হবে। এই জন্যই আমার সর্বপ্রথম সংস্কার করতে চেয়েছি। সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ আমাদের পরিকল্পনা দেশের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করেছি। এখন আপনাদের আস্থা নিয়ে এই ৩১ দফা বাস্তাবায়ন করাই মূল চ্যালেঞ্জ। তা না হলে দেশ পিছিয়ে যাবে। দেশের মানুষ আরো কষ্ট পাবে। এজন্যই জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে দেশ পূনর্গঠন করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশর বেকারদের কর্মসংস্থান করে দিতে হবে। দেশে ও বিদেশে ট্রেনিং দিয়ে তাদের কর্মসংস্থান করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। স্কুল-কলেজ পর্যায়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। এই শিক্ষার্থীরাই হলো আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ। আমাদের ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে করে হাসপাতালে ধনী-গরিব সবাই সঠিক চিকিৎসা পায়।’
ভারতের পানি আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘ফারাক্কার কারণে আজ পদ্মা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। এক সময়কার সুজলা সুলায় এই অঞ্চল আজ মরুভূমি। আমরা এই পানির জন্য প্রয়োজনে অন্তর্জাতিক আদালতে যাবে, জাতিসংঘে গিয়ে হলেও পানির নায্য অধিকার নিয়ে আসবো। খালগুলো পানি ভরে রাখতে হবে। যাতে আগামী দিনে পানি নিয়ে যদি আবারও বাধা আসে তাহলে মানুষ এগুলো ব্যবহার করতে পারে।’
Leave a Reply