জকিগঞ্জ প্রতিনিধি
পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বেসরকারি ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে জকিগঞ্জে একযোগে অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বিভিন্ন বাজার, মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
জকিগঞ্জ উপজেলার শাহগলী পয়েন্টে শাহগলী আদর্শ শিশু নিকেতন ও দি চাইল্ড কেয়ার স্কুল, আটগ্রামে লতিফিয়া ইসলামিক আইডিয়াল একাডেমি, কালিগঞ্জ বাজারে সীমান্তিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হাবিবিয়া ক্যাডেট স্কুল, ইছামতি স্কলার্স একাডেমি, কসকনকপুরে উদয়ন স্কুল, ইউনিয়ন অফিস বাজারে শাহজালাল ইসলামিক আইডিয়াল স্কুল ও আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি, উত্তরকুলে মুশাহিদিয়া আইডিয়াল কেজি স্কুল, হাসিতলায় হাসিতলা কেজি স্কুল, কামালগঞ্জে মর্নিং স্টার কামালগঞ্জ ও আব্দুল আজিজ একাডেমি, গঙ্গাজল বাজারে ট্যালেন্টসহোম স্কুল, বাবুর বাজারে কুসুমকলি কিন্ডারগার্টেন, মেরিটহোম স্কুল ও গোল্ডেন একাডেমি, ইদগাহ বাজারে রাইজিং সান স্কুল, মাসুমবাজারে বিরশ্রী ইসলামিক কেজি স্কুল, রতনগঞ্জে চাইল্ডহোম স্কুল, হাড়িকান্দিতে দারুল আজহার একাডেমি এবং ভরণ মুমিনপুরে কর্ডোভা মডেল একাডেমি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এছাড়াও উপজেলার আরও অনেক কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একই সময়ে নিজ নিজ এলাকায় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
পরে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জকিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে পৌর এলাকার আল ইহসান একাডেমি, জকিগঞ্জ আইডিয়াল কেজি স্কুল, জকিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন, ক্যাডেটহোম স্কুল ও সাবআ সানাবিল স্কুল।
এ সময় সভাপতিত্ব করেন জকিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মাওলানা কাজী হিফজুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক কে. এম. মামুন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—ক্যাডেটহোম স্কুলের প্রিন্সিপাল সিরাজ উদ্দিন, জকিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেনের প্রিন্সিপাল শফিকুর রহমান, আল ইহসান একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল আহমদ আল আযাদ, সাবআ সানাবিল স্কুলের পরিচালক রাজু আহমদ, জকিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ইয়াহিয়া আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক আহমদ এবং দারুল আজহার একাডেমির পরিচালক আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
গত ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এবার থেকে শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
বক্তারা বলেন, “এটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত। সকল শিশু সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার রাখে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশে এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
তারা আরও বলেন, “বেসরকারি ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ অব্যাহত রাখতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষা বাতিলের দাবিও উঠতে পারে।”
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
Leave a Reply