সর্বশেষ :
বাংলাদেশকে ধসিয়ে ধবলধোলাই এড়াল পাকিস্তান বলিউডের যে নায়কের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন শাহরুখকন্যা আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন রাতে ঘুম হয়নি হাসিনার জুলাই আন্দোলনের ‘শহীদ রুদ্র সেন ছিলেন একটি আদর্শের প্রতীক : বিভাগীয় কমিশনার মব কালচার দেশে আতঙ্কের নতুন উৎস : রিজভী সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে নারীসহ আটক ৬ বৃত্তি পরীক্ষায় বৈষম্যের প্রতিবাদে জকিগঞ্জে অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মানববন্ধন! ড্রিমলাইনার বিধ্বস্তের চার দিন পর একযোগে অসুস্থ হন এয়ার ইন্ডিয়ার ১১২ পাইলট— চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে আগামী নির্বাচনও ব্যর্থ হবে: জামায়াতের আমির অপরাধ দমনে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারেরে কঠোর পদক্ষেপ
ড্রিমলাইনার বিধ্বস্তের চার দিন পর একযোগে অসুস্থ হন এয়ার ইন্ডিয়ার ১১২ পাইলট— চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

ড্রিমলাইনার বিধ্বস্তের চার দিন পর একযোগে অসুস্থ হন এয়ার ইন্ডিয়ার ১১২ পাইলট— চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

আন্তজার্তিক ডেস্ক

ভারতের আহমেদাবাদে বোয়িং ৭৮৭-ড্রিমলাইনার হোস্টেল ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে ২৭৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর এর কারণ নিয়ে চলছে অনুসন্ধান। এমন সময় ফ্লাইট পরিচালনাকারী সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মুরলিধর মোহল। তিনি জানিয়েছেন, ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার মাত্র ৪ দিন পর এয়ার ইন্ডিয়ার ১১২ জন পাইলট একযোগে অসুস্থতা দেখিয়ে ছুটিতে গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ভারতের লোকসভায় এই তথ্য তুলে ধরে পাইলটদের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরেন মুরলিধর মোহল। তিনি বলেন, ৫১ জন কমান্ডার এবং ৬১ জন ফ্লাইট অফিসার ওইদিন একযোগে ছুটি নিয়েছিলেন।

লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব এয়ারলাইনসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন মেডিকেল পরীক্ষার সময় মানসিক স্বাস্থ্যের মূল্যায়নের জন্য দ্রুত ও কার্যকর পদ্ধতি চালু করা হয়।

তিনি আরও বলেন, পাইলট ও বিমান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের (এটিসিও) মানসিক চাপ সামাল দিতে ‘স্বতন্ত্র ও কাস্টমাইজড প্রশিক্ষণ মডিউল’ চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে সহকর্মীদের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত ও মোকাবিলায় সহায়তায় ‘সহকর্মী সহায়তা গোষ্ঠী’ নামে সাপোর্ট গ্রুপ গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

ডিজিসিএর শোকজ, এয়ার ইন্ডিয়ার জবাব

এদিকে ভারতীয় বেসমারিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা–ডিজিসিএ গতকাল বুধবার এয়ার ইন্ডিয়াকে চারটি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। ক্রুদের ক্লান্তি ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নিরাপত্তা নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অভিযোগে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

ডিজিসিএ জানিয়েছে, গত এক বছরে এয়ার ইন্ডিয়া স্বেচ্ছায় যেসব ‘নিরাপত্তা ঘাটতির’ তথ্য দিয়েছে, তার ভিত্তিতেই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— কেবিন ক্রুদের বিশ্রামকাল নিশ্চিত না করা, প্রশিক্ষণের নিয়ম ভাঙা এবং অপারেশনাল প্রটোকল লঙ্ঘনের ঘটনা।

এয়ার ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র এনডিটিকে বলেছেন, ‘আমরা নোটিশগুলো পেয়েছি এবং এর উত্তর দেব। এগুলো গত এক বছরে দেওয়া স্বেচ্ছা-ঘোষণার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা ক্রু ও যাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

গত ছয় মাসে এয়ার ইন্ডিয়া ১৩টি নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় নোটিশ পেয়েছে। সর্বশেষ, মঙ্গলবার হংকং থেকে দিল্লিগামী এয়ারবাস এ৩২১ বিমানের ‘অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিটে’ আগুন ধরে যায় অবতরণের পর। তবে এতে কেউ আহত হননি।

ঘন ঘন দুর্ঘটনা, বাতিল উড্ডয়ন

তার আগের ২৪ ঘণ্টায়ও দুটি ঘটনা ঘটে। কোচি থেকে মুম্বাইগামী একটি বিমানের ইঞ্জিন কাভার ক্ষতিগ্রস্ত হয় রানওয়েতে স্লিপ করার ফলে। একইদিন, দিল্লি থেকে কলকাতাগামী একটি ফ্লাইট টেকঅফের শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে।

আর বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে মুম্বাইগামী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইটের উড্ডয়ন বাতিল করা হয়, কারণ তখন পাইলটদের স্পিড ডিসপ্লে স্ক্রিনে ত্রুটি ধরা পড়ে।

৩২ সেকেন্ডেই ধ্বংস, তদন্তে জোর সন্দেহ

আহমেদাবাদের ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনার পর থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। বিমাটি উড্ডয়নের মাত্র ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়।

প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিমানের ফুয়েল সাপ্লাই সুইচ দুটি ‘RUN’ থেকে ‘CUTOFF’ অবস্থানে চলে গিয়েছিল, যার ফলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে পড়ে। সাধারণত এই সুইচগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা যে ভুল করে টগল করা সম্ভব না, কিন্তু তদন্তে দেখা যায়—দুটো সুইচ প্রায় একসাথে এক সেকেন্ডের ব্যবধানে পরিবর্তিত হয়।

এ নিয়ে মিডিয়ায় জল্পনা ছড়ায়, কোনো পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে সুইচ দুটি অফ করেছেন। বিশেষ করে, শেষ কথোপকথনের একটি অংশে—ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়াল ফ্লাইট অফিসার ক্লাইভ কুন্দেরকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি জ্বালানি বন্ধ করেছেন? উত্তরে কুন্দে বলেন, “না।”

এই অডিও ক্লিপ ও মিডিয়ার সংবাদকে “ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন” বলে মন্তব্য করেছে তদন্তকারী সংস্থা Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB)।

এই প্রতিবেদনের নেতৃত্বে থাকা মার্কিন সংবাদমাধ্যম Wall Street Journal-এর নাম উল্লেখ করে অভিযোগ তোলে ভারতের সরকারও। ঘটনাটির তদন্তে সহায়তা করা যুক্তরাষ্ট্রের National Transportation Safety Board (NTSB)–ও ওই প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছে।

সব বোয়িং বিমানে ফুয়েল সুইচ চেকের নির্দেশ

প্রাথমিক প্রতিবেদনের পর ভারতের সব বোয়িং বিমানে ফুয়েল সাপ্লাই সুইচ চেক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, তারা চেক সম্পন্ন করেছে এবং কোনো সমস্যা পায়নি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff