বড় পরাজয়ে সিরিজ হার বাংলাদেশের

বড় পরাজয়ে সিরিজ হার বাংলাদেশের

একুশে স্পোর্টস

২৮৬ রানের লক্ষ্য কঠিন ছিল, কিন্তু তা দুরতিক্রম্য নয়। এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২৮০ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। গতকাল ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের হাতছানিও। কিন্তু লক্ষ্য তাড়ায় জেতার মানসিকতাই দেখা গেল না বাংলাদেশের। ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে হারল ৯৯ রানে।

এই ম্যাচে আসলে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন কুশল মেন্ডিসই। সেঞ্চুরি করেছেন, সতীর্থদের নিয়ে একটি ফিফটি পেরোনো এবং একটি সেঞ্চুরি জুটি গড়েছেন। আর তাতেই তারা পেয়ে যায় ২৮৬ রান। যা টপকাতে এসে একজন কুশল মেন্ডিসের বড় অভাব অনুভূত হলো বাংলাদেশ দলে। শেষ ম্যাচেও ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা; দলীয় ১৯ রানে তানজিদ হাসান তামিমের (১৭) বিদায়, এরপর নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া শান্তর দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে ২০ রানে ২ উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দুশমন্ত চামিরার বল অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছিল। মাটিতে পড়ে ভেতরে ঢোকার মুখে জায়গায় দাঁড়িয়ে পুশ করতে চেয়েছিলেন শান্ত। বলের লাইন মিস করে বোল্ড।

শুরু ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয় ৪২ রানের জুটি গড়েছিলেন। থিতু হয়ে যাওয়া এই জুটি ভাঙেন দুনিত ভেল্লালাগে। তাঁকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচ দেন ইমন। আউট হওয়ার আগে ২৮ রান করেন তিনি। দলের রান তখন ৩ উইকেটে ৬২। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে অবশ্য দলীয় সেঞ্চুরিতে পা রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় সেঞ্চুরির পরই বিদায় নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুনিতের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ২৫ বলে ২৮ রান করে যান তিনি।

লঙ্কান ইনিংসে ৪ উইকেট হারানোর পর হয়েছিল একটি সেঞ্চুরি জুটি। কিন্তু বাংলাদেশের ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট খোয়ানোর পর সেঞ্চুরি জুটি তো দূরের কথা, একটি ৫০ রানের পার্টনারশিপও গড়ে ওঠেনি। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে হৃদয় আউট হওয়ার আগে ৫১ রান করলেও বল খেলেছেন ৭৮ টি। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট ৬৫.৩৮। বল হাতে আসিতা ফার্নান্দো ও দুশমন্ত চামিরা নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস করেন ১২৪ রান।

ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে যদিও ১৩ রানে শ্রীলঙ্কা হারিয়ে ফেলেছিল ওপেনার নিশান মাদুশকাকে, কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সে ধাক্কা কাটিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে পাতুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের ৫৬ রানের জুটি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক তানভীর ইসলাম এ জুটি ভাঙেন নিশাঙ্কাকে (৩৫) ফিরিয়ে। মাদুশকার উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। বড় জুটির সন্ধানে থাকা শ্রীলঙ্কার হয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন কুশল। আরেক মেন্ডিস কামিন্দুকে নিয়ে তিনি তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৩১ রান। মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে কামিন্দু ফিরে গেলে অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে কুশলের ব্যাটিং দৃঢ়তা প্রদর্শনীর শুরু। পরিস্থিতির চাহিদা মেনে ১১৭ বলে ১২৪ রান তোলেন আসালাঙ্কা-কুশল। তাঁরা যখন উইকেটে ব্যাট করেছিলেন, তখন শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে হয়েছিল। তবে শেষ ১০ ওভারে ৬৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।

লঙ্কান ইনিংসের ৪১ তম ওভারে তাসকিন আসালাঙ্কাকে (৫৮) ফিরিয়ে দেন। এরপর জানিথ লিয়ানাগে (১২) ও কুশল মেন্ডিসও যান। মিরাজের শিকার হন লিয়ানাগে। আর সেঞ্চুরিয়ান কুশলকে ফেরান। শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তাঁর লং হপ বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠেছিল। পেছনের দিকে দৌড়ে ক্যাচ নেন বোলার নিজেই। কুশলের ১১৪ বলের ইনিংসটিতে রয়েছে ১৮টি চার।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff