একুশে সিলেট ডেস্ক
মাদকাসক্তির প্রাথমিক ধাপ ধূমপান-এ কথা উল্লেখ করে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যকে মাদক হিসেবে ঘোষণা এবং সামাজিকভাবে এর বিরুদ্ধে বর্জনের ডাক দিয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী।
তিনি বলেন, ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার শুধু ব্যক্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, এটি ধীরে ধীরে সামাজিক অবক্ষয়েরও জন্ম দেয়। তাই এই আসক্তি থেকে মুক্ত থাকতে পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, ইচ্ছাশক্তির বিকাশ এবং নৈতিক চেতনা জাগ্রত করাই একমাত্র পথ।’
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নে করণীয়’ বিষয়ক বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাছির উদ্দিন আহমেদ, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হালিমা আক্তার এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট জেলার উপ-পরিচালক মলয় ভূষণ চক্রবর্তী।
প্রবন্ধ ও আলোচনায় বক্তারা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বলেন, তামাকের কারণে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি পরিবেশও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
বক্তব্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং সেল গঠন করে নিয়মিত তদারকি, ধূমপান ও তামাকের ঝুঁকি সম্পর্কে প্রচার বাড়ানো, পরিবারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করা।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরাও উন্মুক্ত আলোচনায় ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণে বাস্তবমুখী বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। বক্তারা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে ধর্মীয়, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আরও জোরালো উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
Leave a Reply