স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের স্থানীয় গণমাধ্যমের ফেসবুক পেইজে শনিবার (২১ জুন) বিকেলে ‘জুলাই যোদ্ধা শুনে চড় মারলেন পুলিশ সদস্য! …’ শীর্ষক একটি ভিডিও প্রকাশের পর মুহুর্তেই এটি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সিলেটজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা। তারা অভিলম্বে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান।
এদিকে ভিডিও প্রকাশের দুই ঘন্টার মাথায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কোতোয়ালি মডেল থানার লামাবাজার ফাঁড়ির এএসআই জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শনিবার সন্ধ্যায় (২১ জুন) জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক।
ভিডিওতে ভোক্তভোগী বলেন, সিলেট নগরীর লামাবাজার এলাকায় তিনি চা-বিক্রি করে সংসার চালান। জুলাই আন্দোলনে মাথায় গুলি খেয়েছেন। ঘটনার দিন ফজরের নামাজের আগে তিনি তার চা-দোকান খুলতে গিয়েছিলনে। দোকান খোলার পর লামাবাড়ার পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল তার দোকানে যায় এবং ফজর পরে দোকান খোলার কারণ জানতে চান। তখন ভুক্তভোগী চা-বিক্রেতা বলেন, আমরা চা-দোকানিরা ফজরের পর দোকান খুলি। কারণ ফজরের পর নামাজ শেষে অনেক কাস্টমার আসে, আমারা তাদের কাছে চা বিক্রি করি। এগুলো দিয়েই আমাদের সংসার চলে। আগে গাড়ি চালাতাম এখন আর গাড়ি চালাইনা শারীরিক অবস্থার কারণে জুলাই আন্দোলনে গুলি খেয়েছি তাই।
তখন পুলশ কর্মকর্তা ওই চা বিক্রেতাকে বলেন ‘গুলি খাইছো, জুলাইযোদ্ধা? শালার ব্যাটা তুই পুলিশ ফাঁড়ি জ্বালিয়ে, পুলি মেরে জুলাইযোদ্ধা হইছো। জবাবে চা দোকানী বলেন হ্যাঁ আমি আন্দোলন করেছি, কিন্তু পুলিশ হত্যা করিনি, পুলিশ ফাঁড়ি জ্বালাই নি। এই কথা বলার সাথে সাথে ওই চা দোকানী জুলাইযোদ্ধার কানে চড় মারেন পুলিশ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন আমি ফজরের পর দোকান খোলায় যদি অন্যায় হয় তাহলে আমার বিচার হোক। কিন্তু আমি জুলাইযোদ্ধা বলায় কি অপরাধ করেছি? পুলিশ সদস্য জসিম আমাকে চড় মাড়লেন?
Leave a Reply