নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে কোকা (খুইচ্ছা ধরার যন্ত্র) চুরির ঘটনা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা ও আঘাতে কিলিশ সরকার (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দরশন সরকার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে মঙ্গলবার নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৩ কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খড়িয়া গ্রামে সম্প্রতি সবুজের দোকান থেকে কয়েক’টি কোকা (খুইচ্ছা ধরার যন্ত্র) চুরি হয়। এই চুরির ঘটনার সাথে নিহত কিলিশ সরকার জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে প্রতিপক্ষের লোকজন রবিবার দিবাগত রাতে কিলিশ’কে তার ঘর থেকে ডেকে নিয়ে একই গ্রামের মতি লালের বাড়ির পিছনে নিয়ে গিয়ে তাকে বেদরক মারপিট ও আঘাত করেন। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এ সময় তাকে প্রথমে নবীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে রাত সাড়ে ৪টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ২ টা ৪৫ মিনিটে কিলিশের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের মৃত এনামুল হকের ছেলে সাদিকুর রহমান, মৃত গুরুচরণ সরকারের ছেলে নিবারন সরকার, জামিনী সরকারের ছেলে সুনীল সরকার’কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের ভাই দরশন সরকার বাদী হয়ে আটককৃতরাসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ধৃতদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোঃ দুলাল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply