বানিয়াচং প্রতিনিধি
শহীদ জিয়ার ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা শামসুল আলম জমাদার।সদরের পূর্ব তোপখানা মহল্লার হান্নান জমাদারের ছেলে শামসুল।স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে ৩০ মে শুক্রবার বাদ এশা নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্টানে এই আয়োজন করেন শামসুল।অনুষ্টানের ছবি এবং ভিডিও ধারন করে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোষ্ট ও করেন তিনি।ছবি এবং ভিডিও তে দেখা যায় তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে সাঁটানো আছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি। এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ প্রকাশ পায়।তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই ফেসবুকে উম্মা প্রকাশ করেন।৩১ মে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে হৈচৈ পড়ে বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মাঝে।অনেকেই মনে করেন শামসুলের এই কর্মকান্ড দূরভিস্বন্ধি মূলক।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, সামনের সারি থেকে ছাত্রলীগের এ্যাক্টিভ রাজনীতি করেছেন শামসুল।বিগত সময়ে বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনের অস্ত্রধারী ক্যাডার হয়ে বিরোধী মত দমনে মাঠে ছিলেন।পুরষ্কার সরুপ ১৯ জুলাই ২০১৯ সালে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর ও সাধারন সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি অনুমোদিত বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির সম্মানিত সদস্য মনোনীত হন।
ফ্যাসিবাদ পতনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নিলেও বানিয়াচংয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সুযোগ সন্ধানী কিছু নেতাদের বিএনপিতে পুনর্বাসন করার অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগের তীর সুবিধী ভোগী কিছু নেতা ও ফ্যাসিবাদের দোসর গুটি কয়েক সংবাদ কর্মীর দিকে।
মোবাইল ফোনে কথা হয় শামসুল আলম জমাদারের সাথে।ব্যাক্তিগত উদ্দোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন।স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পরিচয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে জানতে চাইলে বলেন এ বিষয়ে তার জানা নাই।তার ফেসবুক আইডিতে বিএনপি নেতাদের সাথে অনেক ছবি আছে দাবি করে শামসুল বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতি করি।আমার বাপ দাদা ও বিএনপি করতেন।উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা তার কাছে চাঁদা দাবি করেছেন।চাঁদা না দেয়াতে এখন তার পিছনে লেগেছেন।ছাত্রলীগের কমিটির সদস্য নিয়ে জানতে চাইলে বলেন,তিনি এখন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নেই।এর কিছুক্ষন পরেই শামসুল আলম জমাদার আইডি ডিএ্যাক্টিভ দেখা যায়।
এ বিষয়ে সংগঠনের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বানিয়াচং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এম এ হাসান।মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন শামসুল আলম জমাদার স্বেচ্ছাসেবক দলের কেউ না।জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমাদের দলের দু,একজন সুবিধা ভোগী নেতা শামসুলকে কাছে টেনেছেন।ফ্যাসিবাদের সুনিদির্ষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে শামসুল নিজের অফিসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করেছেন।এর জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আল হাদি বলেন,এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই।আমি আপনার মাধ্যমে জেনেছি।আওয়ামী দুসররা তাদের ফ্যাসিবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে।আর এতে দলের দু,একজন সুবিধা ভোগী নেতা ও আওয়ামী দোসর কাজ করছেন।
Leave a Reply