“আমি বক্তব্য দিলাম একটা, আর তুমি বলছ আরেকটা।”: টক অব দ্যা টাউন

“আমি বক্তব্য দিলাম একটা, আর তুমি বলছ আরেকটা।”: টক অব দ্যা টাউন

একুশে সিলেট ডেস্ক
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ালেন স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় নগরের দরগাগেট এলাকার কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হলে এ ঘটনা ঘটে।

বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ানো দুই নেতা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। কয়েস লোদী স্থানীয় বিএনপিতে আরিফুলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলয়ের নেতা হিসেবে পরিচিত।

ছবিতে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদির বক্তব্য প্রদাকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী এগিয়ে এসে বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করলে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়:ছবি সংগৃহীত 

সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা চারটার দিকে শহীদ সুলেমান হলে আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য সাজেদুল করিম ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ সিলেটের আহ্বায়ক শামীমুর রহমান।

মহানগর বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় আরিফুল হক অনুষ্ঠানে দলের জ্যেষ্ঠ সারির নেতা অর্থাৎ বেশ কয়েকজন সহসভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত না হওয়াকে তিনি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।

পরে সভাপতির বক্তব্য দিতে এসে রেজাউল হাসান কয়েস লোদী তাঁর বক্তব্য ফেসবুকে লাইভ না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আরিফুল হক চৌধুরীর উদ্দেশে কিছু কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, এখানে হলভর্তি নেতা-কর্মী রয়েছেন। উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। এরপরও কেন তিনি (আরিফুল) জ্যেষ্ঠ নেতারা নেই বলে অভিযোগ করছেন? পরে তিনি ৫ আগস্টের আগে আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীর ভূমিকা রাখার বিষয়ে কথা বলা শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন কর্মী জানান, কয়েস লোদীর বক্তব্য চলাকালে আরিফুল হক চৌধুরী তাঁর আসন থেকে উঠে দাঁড়ান। আরিফুল এ সময় লোদীর কাছাকাছি গিয়ে এমন ধরনের বক্তব্য না দেওয়ার কথা বলেন। আরিফুল হক বলেন, তিনি যে উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন, সে আলোকে যেন সভাপতি বক্তব্য দেন। এরপরই দুজন প্রকাশ্যে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। কয়েক মিনিট ধরে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা চলে। এ সময় মিলনায়তনে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কেন গুরুত্বপূর্ণ নেতারা নেই, এ প্রসঙ্গে আমি বক্তব্য দিই। অথচ কয়েস লোদী অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দেওয়া শুরু করে। আমি তখন উঠে গিয়ে তাঁকে বলেছি, “আমি বক্তব্য দিলাম একটা, আর তুমি বলছ আরেকটা।” আমি কেবল আমার বক্তব্যের সূত্র ধরে তাঁকে কথা বলার জন্য বলেছি।’

এ বিষয়ে রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘তিনি (আরিফুল) দলের সিনিয়র নেতা। আমার নেতা। আমার বক্তব্যের সময় যেভাবে তিনি তেড়ে এসেছেন, এ নিয়ে আসলে আমি কী বলব? আমার বলার কোনো ভাষা নেই।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff