সর্বশেষ :
চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক রাজিব শোকজ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিচ্ছে ইসি সিলেটে দলীয় সভায় নেতাদের বাকবিতন্ডা ও ‘কল-কাণ্ডে’র ঘটনায় বিএনপির দুই তদন্ত কমিটি নবীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করছে, কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শাকিবের নায়িকা হিসেবে সাবিলা নূরকে নিয়ে কে কী লিখছেন স্থায়ী কমিটির বৈঠক : ডিসেম্বরে নির্বাচন আদায়ে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে মাঠে থাকবে বিএনপি সরকারকে শেষ বার্তা দিলেন বিএনপি নেতা ইশরাক প্রেমিকা নিয়ে পুত্রের বিলাসী ভ্রমণ, বিতর্কের জেরে মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ পাকিস্তানে গুলি করে কিশোরী টিকটক তারকাকে হত্যা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার আড়ালে কী চলছে : রয়টার্সের প্রতিবেদন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার আড়ালে কী চলছে : রয়টার্সের প্রতিবেদন

আন্তজার্তিক ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে এবং এর পেছনে একাধিক জটিল সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা কাজ করছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, যেখানে ভবিষ্যৎ রাজনীতির রূপরেখা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।

জনমনে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি আরও গভীর হচ্ছে, আর একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের অভাবে আগামী দিনের নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

সরকার এখনো পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করেনি। যদিও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস পূর্বে বলেছিলেন, ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬ এর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তবে তারিখ অনির্দিষ্ট থাকার কারণে বিরোধীদলগুলোর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি স্পষ্ট জানিয়েছে—নির্বাচন অবশ্যই ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে হতে হবে, নয়তো তারা ইউনূস সরকারের প্রতি ‘সমর্থন পুনর্বিবেচনা’ করবে।

চাপে আরও আগুন লাগায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য, তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত।’ এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা দেশের সেনা-অসন্তুষ্টির ইঙ্গিত হিসেবেও দেখছেন।

এদিকে, নতুন রাজনৈতিক দল ‘ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি’ বলছে, নির্বাচন আয়োজনের আগে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সংস্কার অত্যাবশ্যক। দলের মুখপাত্র জানান, বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা, নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন এবং স্থানীয় প্রশাসনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে, অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।

ইউনূস সরকার যদিও ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (এনসিসি)’ গঠন করে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করেছে, কিন্তু সাংবিধানিক সংস্কার ইস্যুতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। বিশেষ করে, দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন এবং বিচারব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে বিরোধ বাড়ছে।

জুনের শুরুতে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু হতে যাচ্ছে, তবে আলোচনায় কতটা অগ্রগতি হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলাও চাপে রয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও রাজনৈতিক কর্মীদের বিক্ষোভে শহরজুড়ে যানজট, বিশৃঙ্খলা এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, সরকারি চাকরিজীবীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন—চাকরির শর্তাবলি ও বেতন কাঠামোতে বৈষম্য দূর করার। শিক্ষকরাও বেতন বৈষম্য ও নিয়োগপ্রক্রিয়ার সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন। সরকার এসব দাবির মোকাবিলায় এখন চাপে পড়েছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সাজীব ওয়াজেদ সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, ড. ইউনূস প্রতিশোধের রাজনীতি করছেন। আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে ধ্বংস করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যদি দ্রুত শান্ত না হয় এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি সর্বজনগ্রাহ্য না হয়, তবে সামনে আরও বড় রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff