একুশে সিলেট ডেস্ক
সিলেটে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দুই দফা পেটালো মাছিমপুর এলাকাবাসী। এতে জেলা স্বেচ্ছোসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হক আজিজসহ চার কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। এসময় ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর ল’ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আজিজুল হক দাবি করেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা করেছে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা স্বেচ্ছোসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হক আজিজ তার অনুসারীদের নিয়ে ল কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বসতেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও আড্ডা দিতে জড়ো হন। কিন্তু তাদের আড্ডাস্থলে গাড়ি পার্কিং করিয়ে রাখেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় আবদুল হান্নানের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী অপু।
এনিয়ে আজিজের কর্মীসমর্থক ও অপর পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঘটনাস্থলে চলে আসেন আজিজ। বিষয়টি মিমাংসা করতে তিনি উভয় পক্ষকে দু’দিকে ঠেলে দিতে চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে অপু, মঞ্জু, দিপু, মুজিব ও অপিসহ মাছিমপুর এলাকার লোকজন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আজিজের মাথায় আঘাত করেন। রক্তাক্ত জখম দেখে আজিজকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাৎক্ষনিক তার মাথায় অস্ত্রোপচার হয় এবং ১৮টি সেলাই লাগে, বলে জানিয়েছে দলের নেতাকর্মী ও হাসপাতাল সূত্র।
এই ঘটনাটি জানাজানি হলে আজিজুল হক আজিজের অনুসারীরা আবারো ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় আগে থেকেই মাছিমপুর এলাকার লোকজনকে নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন।
প্রতিপক্ষের ব্যবহৃত অন্তত ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ ইমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ বিক্ষোব্দ নেতাকর্মীরা উপশহর পয়েন্টে করেন। এরপর বিক্ষোব্দ বিএনপির নেতাকর্মীরা মাইকে ঘোন হামলার চেষ্টা করলে সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশৃঙ্খল সকলকে তাড়িয়ে দেয়। রাত ১২টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিএনপির অংগসংগঠনের নেত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে রাতেই প্রতিশোধের ঘোষণা দেন অনেক নেতা।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, হামলার ঘটনায় ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
Leave a Reply