লন্ডন প্রতিনিধি
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আবিদা ইসলামের পদত্যাগ ও সরকার কর্তৃক অপসারণের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠছে লন্ডন।
আবিদা ইসলামকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা ও মুজবিভক্ত দাবি করে সোমবার দুপুরে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে কয়েক শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের অপসারণ ও পদতাগ দাবি করেন। এসময় আবিদা ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোব্ধ নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশটি আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস, রাইট অফ দ্যা পিপল ও ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল। তাছাড়া সেখানে বাঙালি কমিউনিটি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের সভাপতি ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান সাফির সভাপতিত্বে ও ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিনহাজুল আবেদীন রাজা এবং রাইটস অফ দ্যা পিপলের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইআরআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল নওশীন মোস্তারি মিয়া।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ষ্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সভাপতি ছাত্রনেতা ছদরুল ইসলাম লোকমান।
অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সিনিয়র সহসভাপতি বেলাল খান, সহসভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী, শেরওয়ান আলী, ইআরএর সহসভাপতি উসমান গণি, রাইটস অফ দ্যা পিপল’র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম আনহার, স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাইটস অফ দ্যা পিপল যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানাউর রহমান চৌধুরী, হামিদ মিয়া, আবদুল কুদ্দুস, আব্দুল কুদ্দুস, ষ্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সহ সাধারণ উজ্জল আলম চৌধুরী, সিনিয়র সদস্য বাচ্চু মিয়া, মো. নিজাম উদ্দিন, রফিক আহমেদ, সহসাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন চৌধুরী সাকী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, ইআরআই’র সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি শাহিন আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ মিলাদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেজাউল করিম রাব্বি, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফজল আহমেদ, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি রুহুল আমিন তোফায়েল, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুল আলিম, মাইনোরিটি রাইট সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি সায়েম আহমদ রাইটস অফ দ্যা পিপল’র প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম লস্কর, দপ্তর সম্পাদক কাওছার আহমেদ, প্রচার সম্পাদক জামিল আহমদ, সহপ্রচার সম্পাদক রানু মিয়া সিনিয়র সদস্য রুমেল আলী, স্ট্যান্ড ফর হিউমেন রাইটসের অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ জুয়েল, সহপ্রচার সম্পাদক মো. মিনহাজ হক, সহ প্রচার সম্পাদক রুবেল আহমেদ, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সহকারী সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনা ইসলাম তানিয়া, সদস্য সৈয়দ আশরাফুল আলম পিন্টু, জাকারিয়া আলী, রেজাউল করিম রাব্বি, মো. ইউসুফ মিয়া, আশরাফুল আলম, আল আমিন মিয়া, মো. ইমন আলী, মো মনির হুসেন, রুমন আহমেদ, নাহিদ চৌধুরী, আমিন আকবর, জুনায়েদ আহমদ, আব্দুল আজীম, আরিফ হোসেন, আশরাফুল আলম শামীম, হোসাইন আহমদ, শাহ্ রুমন আহমদ, মো. ফজল আহমদ, মো. রফিক মিয়া, আল আমিন মিয়া, কাইয়ুম লায়েক, নাজমুল আহমদ, মো. আব্দুল হক, আমিন কবির সোহাগ, লায়েক আহমদ, সাইফুর রহমান, আরিফ হোসেন, মো. সিরাতুল ইসলাম আবির, শিব্বির রহমান শাবাব, মো. ফজল আহমদ, গোলাম ফারাবী আহমদ আলিফ, নাহিদ আহমেদ চৌধুরী, ফাহমিদ আহমদ, শাহ মোহাম্মাদ রুমন, গালিব আল সুয়েব, ফাহমিদা আক্তার ইপা, রাহমান ইমন, মো. আদিল আহমদ, রিজভী উদ্দিন আহমেদ, আবুল হায়াত।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুজিবভক্ত আবিদা ইসলাম ছিলেন ফ্যাসিস হাসিনার সহযোগী। ফ্যাসিস্ট তিনি মেক্সিকোতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার থাকাকালীন সময়ে নিজ পকেট থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে দূতাবাসের সামনে মুজিবের মূর্তি স্থাপন করেন। তৎকালীন সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি সহকর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করতেন। আগষ্ট বিপ্লবের প্রথম সাপ্তাহে শেখ মুজিবের আত্মজীবনী কয়েক হাজার বই স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশ করেন। ৫ আগষ্টের পরে তিনি অফিসে অনিয়মিত হয়েপরেন এবং সরকারি সব কাজ বাসায় বসে করেন।
বক্তারা আরো বলেন, আবিদা ইসলামকে ব্রিটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন তার এক সময়ে বয়ফ্রেন্ড মাহবুব হাসান সালেহ। এই সালেহ ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। সালেহ এবং আবিদা ইসলাম মিলে শেখ হাসিনাকে লন্ডনে আশ্রয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্দে যাতে ব্রিটিশ সরকার অবস্থান নেয় সেই মিশন বাস্তবায়ন করার জন্য আবিদা ইসলামকে হাইকমিশনার পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, যুক্তরাজ্যে মতো একটি দেশে আওয়ামী লীগের মিশন বাস্তবায়নে যে অতীতে রাজনৈতিক কর্মীর মতো কাজ করেছিল তাকে পদায়ন করা জুলাই শহিদের রক্তের সাথে বেঈমানী। আমরা ড. ইউনুস সকারের নিকট অভিলম্বে আবিদা ইসলামের অপসারণ দাবি করছি অন্যত্থায় এই আন্দোলন আরো কঠোর থেকে কঠোর হবে।
Leave a Reply