সর্বশেষ :
ওসমানীনগরে গাড়ি ভাংচুর মামলায় একদিনের ব্যবধানে গ্রেফতার আরো ১ জন তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাল বাংলাদেশ সরকার এমসি ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্দ্যোগে নগরীর টিলাগড় পয়েন্টে ইফতার বিতরন বালাগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কিস্তিতে ঘুষ নেন বিশ্বনাথ থানার এসআই বিয়ে করলেন সমন্বয়ক রাফি, জানা গেল স্ত্রীর পরিচয় ৭৪ লাখ টাকার ভারতীয় কাপড় ও কসমেটিকসসহ দুই চোরাকারবারি আটক বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভোলাগঞ্জে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান, সরকারি খাস জমি উদ্ধার
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

একুশে সিলেট ডেস্ক
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ খারিজ করে এই আদেশ দেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই আদেশ দেওয়া হয়।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা বদলি করতে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ২০২০ সালে গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার চলবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, ব্যারিস্টার কামারুন মাহমুদ দীপা।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন। মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন জানান, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর চেয়ে রিট করেছিলেন ভিকটিমের স্বামী। আজ প্রায় দুই বছর পরে মামলার শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ নিজেদের আপিল প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকলো। এখন এ বিচারকাজ দ্রুততার সঙ্গে ত্বরান্বিত হবে এবং যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে আশা করি। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ স্টেজে ছিল। তারপর এটি আর এগোয়নি বলে জানান আইনজীবী।

এ ধর্ষণ মামলায় ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।

অভিযোগপত্রে আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।

এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আসলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০২২ সালের ১১ মে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আদালত।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে ধর্ষণ মামলায় এবং চাঁদাবাজির মামলায় ২০২২ সালের মে মাসে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য গেজেট জারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff