শাবি প্রতিনিধি
স্থানীয়দের সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘটিত ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মানুষের মর্যাদার প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। যেকোন ব্যক্তি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কোন সদস্যের মানহানি কোনভাবেই কাম্য নয়।’
এতে আরো বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের আন্তরিক তৎপরতায় এলাকাবাসী পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থগিত করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ এলাকাবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির অতি দ্রুত সম্মানজনক ও গ্রহণযোগ্য সমাধানকল্পে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে। আশা করা যায় দ্রুতই কাঙ্ক্ষিত সম্মানজনক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। এ লক্ষ্যে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘সেদিনের ঘটনার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রক্রিয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় এলাকাবাসী অপমানিত বোধ করেছেন। একই সঙ্গে তারা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। এজন্য তারা গত মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছিল। আমরা স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সেই কর্মসূচি না করার অনুরোধ করেছি। বর্তমানে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া চলমান। তাঁরা এ বিষয়ে একটি সম্মানজনক সমাধান চেয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকীর গাড়িতে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে রড দিয়ে মারতে আসার অভিযোগ উঠে স্থানীয় যুবক ইনজামামুলের বিরুদ্ধে। ওই দিন অভিযুক্ত যুবককে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়। এসময় তিনি ওই শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চান। ক্ষমা চাওয়ার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে একে ‘মানহানি’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফলে বিষয়টির সমাধানে ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্খিত’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply