একুশে সিলেট ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘জুলাই আগস্টে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে মৌখিকভাবে নিষিদ্ধ করা হবে না। রাজনৈতিক ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটি।’
গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ জড়িত সবাইকে শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি বলেন, ‘মানুষ নতুন রাজনৈতিক দলের অপেক্ষায়। গণ-অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক দল কখন আসবে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারে কবি নজরুল অডিটরিয়ামে জাতীয় নাগরিক কমিটির সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় অংশ নিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। শুধু তা-ই নয় গণহত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারাই জড়িত তাদের শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি না করার আহ্বান জানিয়ে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘অনেক দল সংস্কার-নির্বাচন নিয়ে নানা কথা বলছে। সংস্কার-বিচার ও নির্বাচন মুখোমুখি করা ঠিক না। জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান লক্ষ নির্বাচন নয়, গণহত্যার বিচার চাওয়া।’
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ প্রসঙ্গে মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘দেশে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা সক্রিয়। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার হীন প্রচেষ্টা হচ্ছে।’
জাতি নতুন রাজনৈতিক দলের অপেক্ষায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি গত ছয় মাস ধরে বাংলাদেশের মানুষ বিপুল আগ্রহে অপেক্ষা করছেন একটি নতুন রাজনৈতিক দল কখন আসবে। গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক দল কখন আসবে। আমরা আমাদের ক্যাম্পেইনের নাম দিয়েছি-আপনার জন্য নতুন বাংলাদেশ। কিন্তু আজকে থেকে ছয় মাস আগে জুলাই আগস্টে যে অভ্যুত্থান চলছিল সেসময় অভ্যুত্থানের ঠিক আগমুহূর্তে আমাদের চোখে কি চলছিল? আমাদের চোখে চলছিল আমাদের ভাইদের লাশ। এবং আমাদের পরিবারের অসহায়ত্ব। যখন প্রত্যেকটা ব্লকে ব্লকে রেড দিয়ে তল্লাশি চলছিল, জেলে কোনো জায়গা ছিল না। আমরা দেখেছি রাস্তায় রাস্তায় মগজ এবং খুলি পড়ে থাকতে। এ কারণে আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছি।’
Leave a Reply