সিলেটে স্বাস্থ্যের ১০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিলেটে স্বাস্থ্যের ১০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

একুশে সিলেট ডেস্ক
সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুদক সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নিঝুম রায় প্রান্ত বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

মামলায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ৮ জনকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ২০২২ ও ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামলার আসামিরা হলেন সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী ও বর্তমানে প্রেষণে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে নিযুক্ত বরুণ ছত্রী এবং অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া তাসলিমা আক্তার, তাহসিন মাসুমা কচি, শক্তি রানী পাল, স্নিগ্ধা বিশ্বাস, পূর্ণিমা নমঃ, পলি রানী দাশ, মন্টি সরকার ও পপি দাশ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, চাকরির আবেদনে নিজেদের স্থায়ী ঠিকানা গোপন করে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভুয়া স্থায়ী ঠিকানা তৈরি করে বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন ওই ৮ জন। লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও বরুণ ছত্রী পরস্পর যোগসাজশে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে তাদের অবৈধভাবে নিয়োগ দেন।

দুদক সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নিঝুম রায় বলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সুপারিশ বহির্ভূত ৮ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর আদালতে মামলাটি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রথম আদেশে ২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসের ২৮ তারিখ জারি করা দ্বিতীয় আদেশে নিয়োগ পান আরও ১৭ জন। আর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আরেক আদশে নিয়োগ পান আরও ১৮ জন। মোট ৫৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০২৩ সালের মার্চ মাসে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে পরীক্ষায় পাস না করেও নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার পর আটজনের বিরুদ্ধে সিলেটের বিমানবন্দর থানায় মামলাও করা হয়।সেই মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff