সর্বশেষ :
চিরনিদ্রায় প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস আল্লামা মুকাদ্দাস আলী রহ.

চিরনিদ্রায় প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস আল্লামা মুকাদ্দাস আলী রহ.

স্টাফ রিপোর্টার

জীবদ্দশায় একাধারে দীর্ঘ ৭০ বছর বুখারী শরীফের শিক্ষাদানের বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শায়খুল হাদীস আল্লামা মুকাদ্দাস আলী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লা ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন।

বুধবার (০৮ জানুয়ারী) সকাল ৮ টায় তার নিজ বাড়ি জকিগঞ্জ উপজেলার ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের সোনাসার এলাকার বারগাত্তা গ্রামের বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারগাত্তা গ্রামে ১৩৪০ বাংলার ২০ চৈত্র আনুমানিক ১৯৩৩ সালের জন্ম গ্রহণ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। মরহুমের জানাযার নামাজ ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪ টায় তার নিজ গ্রামের পার্শ্ববর্তী সোনাসার বাসষ্টেশনের পূর্ব মাঠে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজার ইমামতি করেন মরহুমের বড় ছেলে মাওলানা কামাল আহমদ।

জানাজায় সিলেটের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হন।

জানাজা’র উপস্থিতির কারণে প্রায় তিন ঘন্টা সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এদিকে আল্লামা মুকাদ্দাস আলী (রহ.)-এর মৃত্যুতে পুরো সিলেটজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

সিলেটের জনপ্রিয় আলেম ‘মাটিয়া ফেরেশতা’ নামে খ্যাত শায়খুল হাদিস আল্লামা মুকাদ্দাস আলী একজন নিভৃতচারী বুজুর্গ ছিলেন।

পার্থিব দুনিয়ার মোহ-মহব্বত ছিলনা তার মাঝে। কিতাব অধ্যয়নেই তার ছিল সব আনন্দ-আহ্লাদ। সব প্রশান্তি যেন ছিল সাদা কাগজের কালো হরফগুলোতে, যেখানে লেখা রয়েছে কোরআন মাজিদের আয়াত, তাফসি ও হাদিসের বাণী।

বপারিবারিক জীবনে মাওলানা মুকাদ্দাস আলী ১৩৮১ হিজরিতে জকিগঞ্জের পরচক নিজগ্রামের আলহাজ মুহিবুর রহমানের বড় মেয়ে আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন।

আট সন্তানের মধ্যে তিন মেয়ে শৈশবেই মারা যান। বর্তমানে তিন ছেলে আর দু’জন মেয়ে রয়েছেন। দুই ছেলে আলেম, হাফেজ এবং দ্বীনি খেদমতে নিয়োজিত আছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff