সবুজ সিলেট ডেস্ক
ছাত্র–জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় হওয়ায় মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আদেশে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পূর্ব নির্ধারিত আদেশ অনুযায়ী সোমবার ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তবে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারত চলে যাওয়ায় এবং সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলে একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় তাদের হাজির করা হয়নি। তবে ১৭ ডিসেম্বর সবাইকেই হাজির করতে বলা হয়েছে।
এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার থাকা ৯ মন্ত্রী-উপমন্ত্রীসহ ১৩ হেভিওয়েটকে আজ সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হাজির করা হয়।
যাদের হাজির করা হয়েছে তারা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক সমাজ কল্যাণমন্ত্রী ডা. দিপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক–ই ইলাহী চৌধুরী এবং সাবেক বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের হাজির করতে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
Leave a Reply