সর্বশেষ :
সিলেটে বিএনপি নেতার প্রাইভেট কার ছিনতাই লামাকাজী ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন টাকার জন্য কোন শিক্ষাথীর্র পড়ালেখা বন্ধ হবে না: বিশ্বনাথে মিছবাহ উদ্দিন হবিগঞ্জে ব্যারিস্টার সুমনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ, আদালতে কাঁদলেন সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গোয়াইনঘাটে ব্যবসায়ী সেলিম হত্যা মামলা, হবিগঞ্জ থেকে আটক ২ খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা (ভিডিওসহ) সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা : থানায় অভিযোগ দায়ের সিলেট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভূমি দখলের অভিযোগ সিলেট সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ৭০ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্য আটক
হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু রহস্যের জট খুলল

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু রহস্যের জট খুলল

একুশে সিলেট ডেস্ক
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট খুলেছে। জানা গেছে, মাহমুদুর রহমান নামে ঢাকার সাভারে দাফন করা মানুষটিই হারিছ চৌধুরী। আর এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে ডিএনএ রিপোর্টের মাধ্যমে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) আদালতে এই ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিতে তার মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী তখন বলেন, বাবাকে মিথ্যা মামলায় হেনস্তা করা হয়েছে বারবার। তার মৃত্যু নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হয়, যা অত্যন্ত বেদনার। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক। তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। আমরা চাই, মরদেহের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ধোঁয়াশা যেন দূর হয়।

তিনি আরও বলেন, ৬৮ বছর বয়সে বাবা ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। পরে ঢাকার অদূরে সাভারে একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এরপর, গত ১৬ অক্টোবর সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা কবরস্থান থেকে ডিএন পরীক্ষার জন্য মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হারিছ চৌধুরীর মরদেহটি কবর থেকে তোলা হয়।

পরে ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশে হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডি কার্যালয়ে ডিএনএ নমুনা জমা দেন।

সে সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তাকে প্রশ্ন করা হয়, বাবাকে দাফনের পরও আপনাকে ডিএনএ নমুনা দিতে হচ্ছে। এই বিড়ম্বনার পেছনে আসলে কারা দায়ী?

উত্তরে তিনি বলেন, এই বিড়ম্বনার জন্য বিগত সরকার দায়ী। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত প্রশাসন এর জন্য দায়ী। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি এবং স্বৈরাচারমূলক আচরণের কারণে আমাকে এই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ডিএনএর নমুনা পরীক্ষার দুই সপ্তাহ পরেই সাভার থানা পুলিশকে রিপোর্ট পাঠানো হয়। এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর সাভার থানায় হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়। সেই জিডির রেফারেন্সেই এই ডিএনএ পরীক্ষা হয়।

এ বিষয়ে জানতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কামারুন মুনিরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আদালতের। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই।

তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া। তিনি বলেন, তিন দিন আগেই আমরা ডিএনএ রিপোর্টটি আদালতে জমা দিয়েছি। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আর মরদেহটি হারিছ চৌধুরীরই বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত তখন মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন।

এর আগে, হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয়। এ ছাড়া দুদকের দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার যথাক্রমে তিন ও সাত বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত।

একইসঙ্গে ২০১৮ সালে ইন্টারপোলে হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ ইস্যু করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff